পার্বতীপুরে সুগন্ধি ধান কাটতে দিন-মজুর সংকট
সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সুগন্ধি ধান কাটার জন্য দিন মজুর সংকট দেখা দিয়েছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও দিন মজুর মিলছে না। এক যোগে সুগন্ধি ধান পাকার কারণে এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পার্বতীপুরে সুগন্ধি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে এক যোগে ধান পেকেছে। এখন কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষা কৃষকদের।
এবার উপজেলায় ১৮ হাজার ৪শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে ব্রি-ধান ৩৪ জাতের সুগন্ধি ধানের চাষ করা হয়েছে। যা শতকরা ৮০ ভাগ জমিতে ধান চাষ হয়েছে। গত বছর ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ধান চাষ হয়েছিল। যার শতকরা ছিল ৩৫ ভাগ।
পার্বতীপুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের গ্রামঞ্চলে কৃষকরা এখন হন্য হয়ে দিন মজুর খুঁজছেন। রেল স্টেশন, বাসটার্মিনাল, ভবানীপুর বাজার, রেলওয়ে জিয়া পার্ক, থানা মোড় ও ঢাকা মোড়ে এসব স্থানে দিন মজুরা সকালে কাজের উদ্দেশ্যে সমবেত হতো, সেখানেও এখন তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। জমির মালিকরা দিন মজুরের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। দিন মজুর দল দেখলেই কৃষকরা হতবাক। দিন মজুর পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের মাইক্রোবাসে করে জামাই আদর করে নিয়ে যাচ্ছে। এমন কি জমির মালিকরা দিন মজুরদের মটরসাইকেলে করে নিয়ে যেতে লক্ষ্য করা গেছে। অনেক কৃষক দিন মজুরদের তিন বেলা খাবার ও রাতে রঙ্গিন টেলিভিশন দেখানোর লোভে দেখাচ্ছে। একই সঙ্গে প্রচলিত মজুরির চাইতে বেশি দেয়ার ও প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ পুকুরপাড়া গ্রামের নুরুজামান জানান, বিঘা প্রতি ৩ হাজার ৫শ থেকে ৪ হাজার টাকায় দিন মজুর জমিতে কাজ করছেন। তিনি আরা জানান, সুগন্ধি ধানের আবাদ ভালো ফলন হয়েছে তা পাকা ধান নিয়ে কৃষকের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ মো. রওশন কবির বলেন, সুগন্ধি জাতীয় ধানের আবাদ পরিবেশ সম্মত এবং অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে ফলে। উৎপাদন খরচ অনেক কম হওয়ায় এ জাতীয় ধান চাষে কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সম্পাদনা : তারেক