চিরিরবন্দরে বিদ্যালয় ভবন না থাকায় পাঠদান হচ্ছে মাঠে
মো. আব্দুস সালাম, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) : দিনাজপুর চিরিরবন্দর আব্দুলপুর আন্ধার মুহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬৩ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য ভবন না থাকায় মাঠের মধ্যে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্কুল মাঠের পাশ দিয়ে পাকা সড়ক থাকায় সব সময় সেই সড়ক দিয়ে বাস, ট্রাক, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা চলাচল করায় সেই যানবাহনের বিকট শব্দ, আর বায়ু দূষণে কমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনায় বিঘœ ঘটছে। বিদ্যালয়ের তিনটি ভবন থাকলেও গত ৫ বছর আগে ২টি ভবনের ফাটল দেখা দেয়। ফাটলের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদানের কাজ পরিচালিত হলেও গত ২ বছর আগে দুটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন থেকেই বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে শুকিয়ে ধুলা বালি আর কাদার মধ্যে বসে মাঠে পাঠ দানের কাজ পরিচালিত হচ্ছে বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান করার কারণে ছোট ছোট কমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের দিকে তাকিয়ে থাকে ফলে পড়াশুনায় মনোযোগ থাকে না। এতে করে ছাত্রছাত্রী ভাল ফলাফল করতে পারছে না। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বদলি হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
দ্বিতীয় শ্রেণী ছাত্র আহসান হাবীব ও চতুর্থ শ্রেণীর ভৈরবী রান জানায়, আমাদের বিদ্যালয় ভবন ফাটল ধরার কারণে আমরা বাহিরে ক্লাস করি। এতে আমাদের লেখাপড়া ঠিক মত হচ্ছে না। তৃতীয় শ্রেণী ছাত্র রিয়াদ আহমেদ ও দ্বিতীয় শ্রেণী ছাত্রী হাদিকা জানায়, রোদে বসে মাঠে ক্লাস করতে ভাল লাগে না। কারণ আমাদের স্কুলের পার্শ্ব দিয়ে পাকা রাস্তা, সেই রাস্তা দিয়ে সব সময় বড় বড় গাড়ি চলাচল করে। সেই গাড়ির শব্দ আমাদের মনোযোগ ক্লাসে থাকে না। তাই আমরা ভাল রেজাল্ট করতে পারি না। শিক্ষিকা আরিফা খাতুন জানায় , স্কুলের মাঠে পাঠদান ছাত্রছাত্রী সঠিক মত পাঠদান করাতে পারছেন না। বিশেষ করে ব্লাক বোর্ড বাহিরে না থাকায় ছাত্র ছাত্রীদের হাতে কলমে গনিত ও ইংরেজি বুঝানো সম্ভব হয় না। এতে ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়ায় অনেক পিছিয়ে পড়ছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা জানায়, আন্ধার মুহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হলেও কর্তৃপক্ষ আশানুরুপ ফল হচ্ছে না। গত ২ বছর ধরে ছাত্র ছাত্রীদেরকে বাহিরে পাঠদান করছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাকিরুল হাসান জানায়, চিরিরবন্দর উপজেলায় আন্ধারমুহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ তিনটি বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে সেইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আন্ধারমুহা বিদ্যালয়ের পূর্ণ সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেই অর্থ দিয়ে ঐ ভবর গুলো পূর্ণ সংস্কার করে কোন লাভ হবে না। তাই আমরা সেখানে টিনসেড দিয়ে দুটি কক্ষ নির্মাণ করে দেব। সম্পাদনা : তারেক