উড়াল সড়ক নির্মাণে বিদেশিদের ৩ বছরের কর অব্যাহতি
কালাম আজাদ : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক) প্রকল্পে নিয়োজিত বিদেশি কর্মীদের বেতন ও ভাতার উপর প্রযোজ্য আয়কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত সম্প্রতি জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতায় সরকার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব) প্রকল্পে নিয়োজিত বিদেশি নাগরিকদের বেতন ও ভাতার উপর আরোপিত আয়কর ৩ বছরের জন্য অব্যাহতি প্রদান করিলো।’
জানা গেছে, রাজধানীর যানজট কমাতে ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট নির্ধারিত হয়েছে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-সাতরাস্তা-মগবাজার রেল করিডোর-খিলগাঁও-কমলাপুর-গোলাপবাগ এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। দুটি লিংকসহ ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ এক্সপ্রেসওয়ের একটি লিংক থাকবে হোটেল সোনারগাঁওয়ের পেছনে। অপরটি থাকবে তেজগাঁও সাতরাস্তা হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত। পরবর্তীতে যখন এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারিত করে উত্তর দিকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা ও দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করবে, যা একদিকে কাঁচপুর সেতু এবং অন্যদিকে নির্মিতব্য পদ্মা সেতু, ঢাকার উত্তর-দক্ষিণ এবং মধ্যাংশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোকেও যুক্ত করবে। সবমিলিয়ে তখন পুরো প্রকল্পের দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ কিলোমিটার। যা ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ২শ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্প তিন ধাপে বাস্তবায়ন হবে। প্রথম ধাপ বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে বনানী পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় পর্যায়ে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং শেষ পর্যায়ে মগবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণের কথা রয়েছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম