বৈদেশিক হস্তক্ষেপবিরোধী সামরিকনীতি গ্রহণ করলেন ট্রাম্প
লিহান লিমা: নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সামরিক নীতি হবে বৈদেশিক হস্তক্ষেপবিরোধী। তবে আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব-কলহ থেকে দূরে থাকলেও সন্ত্রাসবাদ দমন ও মধ্যপ্রাচ্যে আইএসকে পরাজিত করতে মার্কিন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বুধবার আরাকানসাসে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।
৮ নভেম্বর নির্বাচনে জেতার পর যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ‘থ্যাংক ইউ’ ট্যুর বা ধন্যবাদ সফরে আছেন ট্রাম্প। এ ব্যস্ততার মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শহর ফোর্ট ব্র্যাগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জেনারেল জেমস ম্যাটিসের নাম ঘোষণা করেন। ফোর্ট ব্র্যাগ সারাবিশ্বের ৯০টি দেশে সৈন্য মোতায়েন করেছে। ট্রাম্প বলেন, ‘সারাবিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য রয়েছে অথচ বর্তমানে তারা যুদ্ধ করছে শুধু মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে ইরাক এবং সিরিয়ায়। আগ্রাসন নীতিতে নয়, আমাদের সামরিক বাহিনীকে উন্নত করতে হবে প্রতিরোধ আইনের ভিত্তিতে। যুদ্ধে বিনিয়োগ করার পরিবর্তে আমরা আমেরিকায় রাস্তা, সেতু ও বিমানবন্দর নির্মাণ করব।’
এর আগে নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্প ইরাক যুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দেশে মার্কিন সৈন্য রাখার বিরোধিতা করেন। আরাকানসাসের ফায়ারভেলে ট্রাম্প মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও উন্নত করার কথা বলেন। এজন্য মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থন কামনা করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘বিদেশি শাসকদের উৎখাতের দৌড় আমরা বন্ধ করব, আমাদের এসবের মধ্যে জড়ানো উচিত হবে না। তবে আমরা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও আইএসকে ধ্বংস করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কোনো দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রকে পরিকল্পনায় অংশীদার হিসেবে চায় তা ওয়াশিংটন বিবেচনা করবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আমাদের পুরনো বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী এবং নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তোলা দরকার। এ সময় দীর্ঘদিনের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও বৈদেশিক হস্তক্ষেপবাদী নীতির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানান দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক হস্তক্ষেপবাদী ও নৈরাজ্যকর নীতির অবসান হতে চলেছে।’ সম্পাদনা: পরাগ মাঝি। সূত্র- রয়টার্স