নাসিরনগরে অবশেষে নিজ বাড়িতে ফিরেছে রসরাজের পরিবার
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নাসিরনগরে নিজ বাড়িতে ফিরেছে বহুল আলোচিত রসরাজ দাসের পরিবারের সদস্যরা। তবে হামলায় ভাঙ্গা ঘর-বাড়িতেই উঠেছেন রসরাজের বাবা জগন্নাথ দাস, মা নমিতা রানী দাস ও ভাই দয়াময় দাস। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারটি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরিফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় গ্রেফতার হন নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাস (৩০)। পরদিন সকালে দুষ্কৃতকারীরা হরিণবেড় গ্রামের পশ্চিমপাড়াস্থ রসরাজের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তবে স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশীদের না জানিয়ে ২৯ অক্টোবর রাতের আঁধারে রজরাসের মা-বাবাসহ পরিবারের বাকি সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রসরাজের পরিবারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনার এক মাস পর গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রসরাজের মা নমিতা রানী দাস ও বাবা জগন্নাথ দাস রসরাজের মুক্তি দাবি করে ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ নাসিরনগরে তাদের বাড়িতে ফিরে আসার আহ্বান জানান। এরপর তারা বাড়িতে ফিরে আসেন।
নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর জানান, রসরাজের পরিবারের সবাই এখন বাড়িতে এসেছে। তার ভাই দয়াময় দাসের সাথে আমার কথা হয়েছে। রসরাজের পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। হরিণবেড় গ্রামে পুলিশের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পও বসানো হয়েছে।
এদিকে, রজরাসের পরিবার বাড়ি ফিরে এলেও তাদের ঘর-বাড়ি এখনো ভাঙাই রয়েছে। হামলায় ভাঙা ঘর-বাড়িতে এখন কোনোরকমে তারা বসবাস করছেন জানিয়েছেন রসরাজের মা নমিতা রানী দাস। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত আলী জানান, রসরাজের পরিবার বাড়িতে ফিরেছেন শোনার পর তাদের ত্রাণ সহায়তা নিতে উপজেলা পরিষদে আসার জন্য খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখনো ত্রাণ নিতে আসেনি। দু-একদিনের মধ্যে তারা না এলে আমাদের অফিসিয়ালভাবে তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: তারেক