কাউন্সিলরের কার্যালয়ে নারীকে ধর্ষণ, মামলা নিচ্ছে না পুলিশ
মাসুদ আলম: রাজধানীর মুগদা এলাকায় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তার নিজস্ব কার্যালয়ে এক নারীকে (৩৮) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। ঘটনায় ধর্ষক কাউন্সিলর বাছিক খান বাচ্চুর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না পুলিশ। নেওয়া হচ্ছে না মামলাও। উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণে ধর্ষককে উস্কে দেওয়ার।
যোগাযোগ করা হলে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, কাউন্সিলরের কার্যালয়ে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ব্যাপারে থানায়ও কেউ অভিযোগ করেনি। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই নারীকে হুমকি দিচ্ছে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও কাউন্সিলর। ধর্ষণের শিকার ওই নারী এই প্রতিবেদকে বলেন, মুগদা থানার মানিকনগর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। তার স্বামী ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। দীর্ঘদিন ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এরই একপর্যায়ে সালিসের কথা বলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর বাচ্চু তাকে ডেকে নেয়। কাউন্সিলরের অফিসে যাওয়ার পর তিনি দেখেন মুগদা থানার ওসি ও বাচ্চু কথা বলছে। এ সময় ওসি তাকে (ওই নারী) বলে, ‘বাচ্চু ভাই যা বলবে তা শুনেন। তা না হলে আপনার বিপদ হবে।’ সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওসি ও বাচ্চু বাইরে চলে যায়। ওই নারীও বাসায় চলে আসে। আবার রাতে ফোন করে বাচ্চু তাকে কার্যালয়ে যেতে বলে। তিনি কার্যালয়ে গেলে অন্য লোকদের বের করে দেয় বাচ্চু। একপর্যায়ে বাচ্চু দরজা বন্ধ করে ওই নারীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। তিনি চিৎকার করার চেষ্টা করলে বাচ্চু তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এর আগে বাচ্চুর বিরুদ্ধে মুগদা থানায় একটি জিডি করেন ওই নারী।
তিনি আরও বলেন, সেখান থেকে স্বামীর সহযোগিতায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পাশাপাশি ঘটনাটি ওসিকে জানানো হলে ওল্টো হুমকি আসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে।
ধর্ষিতা নারী আতঙ্কের স্বরে বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে ওসি ও বাচ্চু আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে।’ সম্পাদনা: কালাম আজাদ