ফারুক আলম: চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি শিগগিরই হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়। গতকাল বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌসচিব পর্যায়ের বৈঠকের শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আশোক মাধব রায় ও ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের নৌসচিব রজিভ কুমার। অশোক মাধব রায় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের বন্দরগুলো যত বেশি ব্যবহার হবে তত বেশি আয় বাড়বে। এটি সড়কপথে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বা কন্টেইনারে পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের যানবাহন ব্যবহৃত হবে। ইতোমধ্যেই ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে নীতিগত চুক্তি হয়েছে। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
অশোক মাধব বলেন, প্রতি তিন মাস পরপর দুদেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়। এটি তারই অংশ। এ বৈঠকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরের কোনো সম্পর্ক নেই। এই বৈঠকে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরে (এসওপি) বিস্তারিত থাকছে। তবে বন্দর ব্যবহারে ফি পরে নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান অশোক মাধব। কোস্টাল ও ক্রু সার্ভিস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পর্যটকরা যারা জাহাজে করে আসবে তারা মূল ভূখ-ে নামতে পারবেন না। তবে জাহাজের ক্রুরা যেন ৭২ ঘণ্টার জন্য ভূখ-ের নামতে পারে সে বিষয়ে একটি সমঝোতা হবে। তাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।