উম্মুল ওয়ারা সুইটি: পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, তিস্তা চুক্তি হবে। এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে এখনো সময় নির্ধারণ হয়নি।
পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আগেই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। সুতরাং তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার বিষয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে কবে নাগাদ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে এগারটায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁ-এ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে নদী ভাঙন বেশি ভয়াবহ। যারা নদী ভাঙনের শিকার হন তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যান। তাদের সহায়-সম্বল বলতে কিছুই থাকে না। উপায়ান্তর না পেয়ে তারা শহরে এসে মানবেতর জীবনযাপন করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় ‘দ্য রিভার স্ট্যাবিলাইজেশন অ্যান্ড প্রিলিমিনারি মাস্টার প্ল্যান’র টিম লিডার নুট ওভারহাগেম্যান জানান, ‘ফ্লাড অ্যান্ড রিভার ব্যাংক ইরোশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’ প্রকল্পটি ২০১৪-১৫ সালে শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় যমুনা ও পদ্মা নদীর স্থিতিশীলতা এবং দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলের প্রাথমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে সমীক্ষা শেষ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যমুনা ও পদ্মার ৩৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে নির্ভরশীল ২১ লাখ ৬৩ হাজার হেক্টর এলাকায় আর্থসামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নে কৌশলগত কাঠামো সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া এ সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন, সমীক্ষা অনুযায়ী প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যমুনা ও পদ্মা নদী ৫-৭ কিলোমিটারের মধ্যে স্থিতিশীল হয়ে মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার হেক্টর বিলুপ্ত পললভূমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম