মুনওয়ার আলম নির্ঝর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে বলে। বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ‘জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৬’-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আট বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এর ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করেই কিন্তু আজকে আমরা এ জায়গায় এসেছি। কাজেই এখানে সবাই একটু সাশ্রয়ী হবে সেটাই আমি আপনারদের আহ্বান জানাব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের মধ্যে এ মানসিকতা থাকতে হবে যে, বিদ্যুৎ আমারই সম্পদ, আমি এটাকে রক্ষা করব, সাশ্রয় করব। বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আমি নিজেই সুইচ অফ করি। অনেকে অহেতুক বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অপব্যবহার করি, অপচয় করি।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৪৭ শতাংশ, যা গত আট বছরে এক কোটি ১৪ লাখ নতুন সংযোগের মাধ্যমে ৭৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার ঘণ্টায় ২২০ কিলোওয়াট থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ঘণ্টায় ৪০৭ কিলোওয়াট হয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণে সিস্টেম লস ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনা গ্যাসের উৎপাদন বাড়ার কথাও উল্লেখ করে বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত নতুন তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। গ্যাসের গড় উৎপাদন দৈনিক এক হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে বেড়ে বর্তমানে দৈনিক দুই হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নেপালের জ্বালানিমন্ত্রী জনার্দন শর্মা। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম