দানের টাকায় নির্বাচন করছেন ৫ মেয়র প্রার্থী
নুরুল আজিজ চৌধুরী ও হাবিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীসহ ৫ মেয়র প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নেমেছেন ‘দান’ এর টাকায়! তারা নির্বাচনী ব্যয় মেটাতে এ ‘দান’ গ্রহণ করেন আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এ পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া ফরমে নির্বাচনী ব্যয় বহন এর জন্য অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস এবং ব্যয়ের খাত বিবরণী পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্ভাব্য অর্থ প্রাপ্তির উৎস ও ব্যয়ের বিবরণীতে দেয়া তথ্য মতে, বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী অ্যাড. সাখাওয়াত তার নির্বাচনী ব্যয় মেটাবেন তার স্বজন মিল্টন হাওলাদার ও মো: আনছার উদ্দিনের থেকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত প্রদত্ত ‘দান’ হিসাবে প্রাপ্ত ৭ লাখ টাকা। একই সঙ্গে তিনি নিজস্ব খাত থেকে আরও খরচ করবেন ৮ লাখ টাকা।
এদিকে হলফনামায় দেয়া তথ্য বিবরণী অনুযায়ী, নির্বাচনে ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা খরচ করবেন রাশেদ ফেরদৌস। তিনি দেখিয়েছেন, নির্বাচনে নিজ তহবিল থেকে ৪০ হাজার এবং আত্মীয় হুমায়রা বেগম, আফতাফ হোসেন মোল্লা, সিরাজ মোল্লা দেওয়া ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা নির্বাচনী ব্যয় করবেন।
নির্বাচনে মূফতী এজহারুল হক খরচ করবেন নিজের ৮ লাখ এবং ‘দান’ এর ৭ লাখ টাকা। তিনি তার অর্থপ্রাপ্তির উৎস হিসাবে স্বেচ্ছায় প্রদত্ত ‘দান’ হিসেবে মো: জয়নাল আবেদিনের থেকে ৪ লাখ টাকা ও রহমত উল্লাহর থেকে ৩ লাখ টাকা দেখিয়েছেন।
নির্বাচনে সব’চে কম অর্থ (২ লাখ টাকা) ব্যয় করবেন কামাল প্রধান। তিনি তার সম্ভাব্য অর্থ প্রাপ্তির খাত দেখিয়েছেন ব্যবসা থেকে ১ লাখ এবং স্বেচ্ছায়প্রণোদিত ‘দান’ হিসাবে প্রাপ্ত আত্মীয় সোহেল রানার থেকে ১ লাখ টাকা।
তিনি সম্ভাব্য ব্যয়ের খাত হিসাবে তার ১০ হাজার পোস্টারে ৪০ হাজার টাকা, ৪টি নির্বাচনী ক্যাম্প/অফিস স্থাপন ও কর্মীদের জন্য ২০ হাজার টাকা, নির্বাচনী এজেন্ট ও কর্মীদের জন্য ২০ হাজার টাকা ইত্যাদি দেখিছেন।
নির্বাচনে এড. মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল খরচ করবেন নিজের ২ লাখ এবং দানের ১৩ লাখ টাকা। তিনি তার অর্থপ্রাপ্তির উৎস হিসাবে স্বেচ্ছায় প্রদত্ত দান হিসেবে চাচা, মামা, ভাই ও আত্মীয় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, দলের নেতাকর্মীদের থেকে ১০ লাখ ও বিপ্লবী ওয়াকাস পার্টির দলীয় তহবিল থেকে ৩০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। সম্পাদনা : তারেক