কক্সবাজার ডিসি অফিস ও আদালত পাড়া অরক্ষিত
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং আদালত প্রাঙ্গণের বেশির ভাগ এলাকা এখনো সিসি ক্যামেরার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়ে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে প্রথমত নিরাপত্তা পরে অনিয়ম দুর্নীতি রোধ, কাজে গতি আনা সহ বেশ কয়েক টি উদ্যোগের কথা বিবেচনায় নিলেও সে বিষয়ে সফলতা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া এ সব লাগানো সিসি ক্যামেরার সমতা নিয়ে ও প্রশ্ন আছে সচেতন মহলের মাঝে।
আইনজীবী ভবন এখনো সিসি ক্যামেরার আওতায় না আসাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন অনেক আইনজীবী। তবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিধি আরো বাড়িয়ে ভবিষ্যতে পুরু এলাকাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং বিশেষ করে বীচ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনার কথা জানালেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আইসিটি বিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার ছুরুত আলম আকাশ জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে ৪টি সিসি ক্যামরা লাগানো আছে এর মধ্যে একটি জেলা প্রশাসক চেম্বারের সামনে আরেক টি ৩ তলায় রাজস্ব শাখায়, অন্যটি ফ্রন্ট ডেক্স এর সামনে আরেক টি জেলা রেকর্ড রুমে। ২০১৪ সালের প্রথম দিকে এ সব ক্যামেরা লাগানো হয়। বর্তমানে ৪ টি সিসি ক্যামরাই সচল আছে। আমরা জেলা আইসিটি রুমে থেকে এগুলো পর্যবেণ করি। এছাড়া প্রতিটি সিসি ক্যামেরা জেলা প্রশাসক মহোদয় সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘুরে দেখা যায় ৪ টি স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসি ক্যামেরার আওতার বাইরে রয়ে গেছে বিশেষ করে রাজস্ব শাখার বিপরীত দিকের গলি, দুতলায় বেশির ভাগ স্থান। এছাড়া কার্যালয়ের বাইরে একটি বড় স্থানতো আছেই।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখার এক কর্মচারী বলেন প্রতিটি দপ্তরের সিসি ক্যামরা বাধ্যতা মূলক। আমাদের অফিসে সিসি ক্যামরা থাকলেও সেটা তুলনামূলক কম বলে আমাদের ধারনা সেটা আরো বাড়ানো দরকার। তাছাড়া সিসি ক্যামরার প্রয়োজনিয়তা বেশি ছিল জেলা প্রশাসক মহোদয়ের গাড়ী পার্ক করার স্থানে আর সামনের রাস্তাতে সেখানে দুপাশে অবৈধ দোকানদারগুলোর কারণে সত্যি অফিস নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকে। সম্পাদনা : তারেক