শারমিন আজাদ: বাংলাদেশের দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করেছিল বিশ্ব ব্যাংক। পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে সরকার। একইরকম দুর্নীতির অভিযোগ এনে ঋণ বাতিল করেছে আরেক উন্নয়ন সহযোগী আইডিবি-ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ঋণ বাতিল করেছে আইডিবি। কিন্তু পিডিবি বলছে, মূলত দুর্নীতি করেছে আইডিবি। পছন্দের একটি কোম্পানিকে কাজ দিতে চেয়েছিল আইডিবি। সেই চাওয়া পূরণ না হওয়ায় ঋণ প্রত্যাহার করেছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি। দুর্নীতির কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি আইডিবি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্প্রসারণ প্রকল্পে সাড়ে ৮ কোটি ডলার বা ৬৫৭ কোটি টাকা ঋণ সম্প্রতি বাতিল করেছে আইডিবি। কিন্তু যে অভিযোগে আইডিবি ঋণ বাতিল করেছে তার ভিত্তি নেই বলে মনে করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এ বিষয়ে পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, ভোলা ও সিলেটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মূল অর্থায়নকারী আইডিবি। সংস্থাটির গাইডলাইন অনুসরণ করে ভোলা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। একই পদ্ধতিতে সিলেট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকাদার নিয়োগ দিতে চাইলে আপত্তি তোলে আইডিবি। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০ বছর ধরে প্রাক-যোগ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেয়া হয়। সিলেটের ক্ষেত্রেও কোনো ব্যতিক্রম করা হবে না। আইডিবির বিশেষ অনুরোধে কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করা হবে না। তিনি বলেন, আইডিবির কাছ থেকে টাকা পেতে
(শেষ পৃষ্ঠার পর) শেষবারের মত চেষ্টা চলছে। একটি বিশেষ টিম জেদ্দায় অবস্থিত সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। আশা করি, সংস্থাটি তাদের ভুল বুঝতে পেরে আবার ঋণ দিতে রাজি হবে।
জানা গেছে, আইডিবির ক্রয় গাইডলাইন মেনে সিলেটে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ২২৫ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ প্রকল্পে ঠিকাদার চূড়ান্ত করে পিডিবি। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে যোগ্য ঠিকাদার নির্বাচিত হয় বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি চীনের সাংহাই ইলেকট্রিক। ঠিকাদার নিয়োগের অনুমোদনের জন্য ২০১৩ সালের মে মাস থেকে দফায় দফায় নথি পাঠানো ্হয় আইডিবির কাছে। কিন্তু আইডিবি তা অনুমোদন দেয়নি। তারা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা শ্রীলংকার একটি প্রতিষ্ঠান লাক দানাবিকে কাজ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। গত ৩ বছরে বিভিন্নভাবে চাপ দিয়েও আইডিবি তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে না পারায় গত মাসে ঋণ বাতিল করেছে। বাতিলের সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেনি আইডিবি। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু