উম্মুল ওয়ারা সুইটি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা সংকটটি রাজনৈতিক। এই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান মিলিটারি দিয়ে হবে না। দেশটিকে রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধান করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডেনমার্কের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেমনিদ উইনথার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিকালে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি সামালে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি সমাধান জরুরি বলেও মন্তব্য করেন। বৈঠক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের আরও জানান, শরণার্থী প্রসঙ্গে আলোচনায় শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকা-ের পর তার ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্সের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের কথাও জানান রাষ্ট্রদূতকে। তিনি কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বাংলাদেশে ডেনমার্কের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের মূল লক্ষ্য তৃণমূলের উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
রাষ্ট্রদূত উইনথার বলেন, ডেনমার্ক বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত জ্বালানি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের রূপকল্প-২০২১ অর্জনে তার দেশের অংশীদার হওয়ার আগ্রহের কথাও প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম