নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) পরিচালিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) ইসলামী উম্মার মধ্যে প্রযুক্তি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। গত শতাব্দীর আশির দশকে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশে একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বদ্যিালয়টি বাংলাদেশে টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষায় স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের বোর্ডবাজারে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)’র ৩০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরবর্তী একাডেমিক সেশন থেকে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আইইউটি উন্মুক্ত হবে। ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের জন্য একটি হল নির্মাণে ২ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল দেশে রূপান্তর করতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ শতাংশে উন্নীত করতে আইইউটি বিশেষ অবদান রাখছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আইইউটির মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে পেরে আপনাদের ক্যারিয়ারে একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি হয়েছে। ওআইসির ২২টি সদস্য রাষ্ট্রের ৩০০ ছাত্র এখানে লেখাপড়া করছেন। তাদের অবদান দেশের সীমানার বাইরে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে, ওআইসির সহকারী মহাসচিব (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) মুহাম্মদ নাইম খান, আইইউটির গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাইদ আল আলাম আল জাহ্রানী এবং আইইউটি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর বক্তব্য রাখেন ।
সমাবর্তনে একজন শিক্ষার্থীকে ওআইসি গোল্ড মেডেল এবং চারজন শিক্ষার্থীকে আইইউটি গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের আবরার ফায়েজ ওআইসি মেডেল এবং বাংলাদেশের নাগরিক মো. উমর ফারুক, তানভীর হাসান মেহেদি, মো. আসিফ হাসান অনিক ও উগান্ডার নাগরিক হামিছি রামাদানকে আইইউটি মেডেল দেওয়া হয়। সম্পাদনা: দেলওয়ার হোসাইন