কলিট তালুকদার, পাবনা: পাবনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দুই ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পরিবারের পক্ষ থেকে পাবনা ও রংপুরের কাউনিয়া থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পাবনা সদর থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ ছাত্ররা হলেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মদ সুরুজ্জামানের ছেলে জাকির হোসেন। তিনি পাবনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অন্যজন রংপুর নগরীর শালবন মিস্ত্রিপাড়ার নুরুল আলম সরকারের ছেলে তানভীর আহমেদ তনয়। দুজনেই এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। এদের মধ্যে ১ ডিসেম্বর সকালে বাড়ি থেকে ট্রেনে করে পাবনা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ফেরার পথে জাকির হোসেন এবং ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় তানভীর আহমেদ তনয় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে নিখোঁজ হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তনয় কলেজের ১ নম্বর হোস্টেলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। ৩০ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে সে হোস্টেল থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। পরদিন তার সহপাঠীরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেনÑ তনয় গ্রামের বাড়িতেও যায়নি।
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ১ ডিসেম্বর পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছে।
এদিকে রংপুর জেলার কাউনিয়া থানায় জাকির হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রিয়াজুল হক রেজা বলেন, জাকির ও তনয় পাশাপাশি কক্ষে থাকত। নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের সকলের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ হাসান বলেন, জাকির আমাদের সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক। ভালো ছেলে। তনয় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের নিখোঁজের কারণ বুঝতে পারছি না।
এদিকে জাকির ও তনয়ের সহপাঠীরা জানান, দুজনেই নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তবে তারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত কি না, বলতে পারি না।
এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর বলেন, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তারা আসলেই নিখোঁজ নাকি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছেÑ সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী