হামিদুর রহমান: তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবারই প্রথমবারের মতো চালু করছে বিজিএমইএ এমপ্লোয়ি ডাটাবেস যেখানে মিলবে শ্রমিকের সকল তথ্য।
দেশের তৈরি পোশাক খাত রপ্তানি আয় এককভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর, কিন্তু এ খাতে মোট কত জন শ্রমিক কাজ করেন তার সঠিক তথ্য নেই সরকার বা অন্য কোনো সংস্থার কাছে। এসব সম্যসাকে লাঘব করার জন্যই তৈরি করা হচ্ছে বিজিএমইএ এমপ্লোয়ি ডাটাবেস। বিজিএমইএ এমপ্লোয়ি ডাটাবেস সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেরদৌস পারভেজ বিভন আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, একজন শ্রমিক কোন ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন, কত দিন সেই ফ্যাক্টরিতে কর্মরত আছেন, পদবি কি, কত টাকা বেতন, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, সব ইনফরমেশন সেখানে পাওয়া যাবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সবকিছু এখন অনলাইনে হচ্ছে এটি অনেক বড় প্রজেক্ট ২০১২ সালের দিকে সরকার এটি পাস করেন। শ্রমিকের ইনফরমেশন এর জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট, ব্লাড গ্রুপ, যা যা প্রয়োজনীয় সব কিছুই থাকছে ডাটাবেসে। কোনো শ্রমিকের চাকরি চলে গেলে বা অন্য কোনো কোম্পানিতে চাকরি করতে চাইলে তাকে নতুন করে সিভি দিতে হয়, পরীক্ষা দিতে হয়, আর অনলাইনে এটি করার ফলে তার নতুন করে কোনো কিছু দিতে হচ্ছে না। আমরা সহজেই তার সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারব এবং বাংলাদেশে গার্মেন্টস ও শ্রমিক সংখ্যা কত সেই তথ্যও আমরা জানতে পারব।
বিভিন্ন সূত্রে দেখা জানা যায়, পোশাক শিল্পে কাজ করেন প্রায় ৪৪ লাখ শ্রমিক। এর মধ্যে ৭৩ ভাগ হলো নারী শ্রমিক এবং ২৭ ভাগ হলো পুরুষ শ্রমিক। কিন্তু পোশাক খাতে ঠিক কতজন শ্রমিক কাজ করেন সে বিষয়ে সরকারি কোনো সংস্থার কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো তথ্য নেই। দেশের তথ্য পরিসংখ্যানের জন্য গ্রহণযোগ্য সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরে্যর (বিবিএস)-এর কাছেও এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ কোনো তথ্য নেই। সে জন্য সরকারও বিজিএমইএর তথ্যকে ভিত্তি করে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়।
তৈরি পোশাক শিল্পের সংখ্যা জানতে চাইলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শক মো. জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এপিজেটের ভিতরে ৪০০০ হাজার থেকে ৪৫০০ এর মতো গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে রয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০, গাজীপুরে রয়েছে ১০০০ থেকে ১২০০, নারায়ণগঞ্জে রয়েছে ৯০০ থেকে ১০০০, সাভারে রয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০, চট্টগ্রামে রয়েছে প্রায় ৫০০ থেকে ৫৫০-এর মতো। এর মধ্যে গাজীপুরে সবচেয়ে বেশি গার্মেন্টস আছে, আরও হচ্ছে।