আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় বুধবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচে আর কোনো জীবিত ব্যক্তি চাপা পড়ে আছে কিনা এবং তাদের জীবিত উদ্ধারের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে কিছুক্ষণ পর পর আফটার শক অর্থাৎ ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অব্যাহত থাকায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। তাছাড়া ভূমিকম্পের একদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমাগত ফুরিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় জীবনের অস্তিত্ব শনাক্তকরণের জন্য উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত প্রাণহানির সংখ্যা ১০২ বলে জানিয়েছে সিএনএন। আর আহত হয়েছে ৭০০-রও বেশি মানুষ। এদের অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ ও চিকিৎসকের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পে যারা আহত হয়েছেন কিংবা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের দিকে মনোযোগী হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আচেহ প্রদেশের সেনাপ্রধান তাতান সুলাইমান একটি ফরাসি বার্তা সংস্থাকে বলেন, মিওরিওদু শহরে সেনাবাহিনী দুর্গতদের জন্য রান্নাঘর, আশ্রয়কেন্দ্র এবং ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভবনগুলোতে আর কোনো জীবিত আটকা পড়ে আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া এবং ঘরহারাদের সহায়তার বিষয়কে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি।’ তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরের হাসপাতালগুলোতে আহতদের ভিড় জমায় চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন। চিকিৎসা উপকরণের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পিদি জায়ার ডেপুটি প্রধান মুলিয়াদি জানান, আহতরা প্রচ- রকমের ওষুধ স্বল্পতা এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা উপকরণের স্বল্পতায় রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সার্জন আর অর্থোপেডিকস দরকার, কারণ আহতদের অনেকেরই হাড়গোড় ফেটে গেছে।’
এদিকে আফটার শকের কারণে অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারছেন না। আতঙ্কে তারা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। ৪ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য খাবার, স্বচ্ছ পানি এবং কম্বল জরুরি হয়ে পড়েছে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ