আজমল হোসেন: মনে করুন আপনি আপনার এলাকার কোনো শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে আপনার মনমতো শপিং করছেন। একটার পর একটা পণ্য তুলে নিচ্ছেন, সেটি ভালো করে দেখছেন। পছন্দ হলে সেটি আপনার ঝুড়িতে রেখে দিচ্ছেন। কেনাকাটা শেষ হলে আপনি সেখান থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন ক্যাশ কাউন্টারের কোনো ঝামেলা পোহানো ছাড়াই। কেমন লাগবে তখন? হ্যাঁ, এটাই সত্যিÑ আপনাকে টাকা-পয়সার কোনো লেনদেন করতে হবে না বা আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করারও প্রয়োজন পড়বে না।
এই পদ্ধতিতে আপনার উপস্থিতি চিনতে পেরে আপনি কী কী পণ্য নিচ্ছেন তা স্ক্যান করে তার মূল্য আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়। প্রযুক্তির নাম বারক্লেকার্ড।
বারক্লেকার্ড-এর প্রধান নির্বাহী আমির সাজেদ জানান, এই পদ্ধতি প্রচলিত সব প্লাস্টিক কার্ডের আমূল পরিবর্তন করবে, যেটি তার কোম্পানি ৫০ বছর আগে যুক্তরাজ্যে চালু করেছিল। তিনি বলেন, মানুষ এখন খুব সহজেই নানান ওয়েব সাইট থেকে বা দোকান থেকে কেনাকাটা করতে পারবে।
এটি অবশ্যই আপনার ডিজিটাল ওয়ালেট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনার ব্যাংক ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মাঝে যুদ্ধের অবস্থা তৈরি করবে, এ ছাড়াও আপনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। ১৯৬৬-তে ক্রেডিট কার্ডের আবিষ্কার হলেও মূল্য পরিশোধের মাধ্যম একই থেকে গেছে। এই কার্ডটি হয় আপনাকে অন্য কারও হাতে দিতে হয় নতুবা কোনো মেশিনে প্রবেশ করাতে হয়। সাজেদ জানান, একটি প্লাস্টিক কার্ডে যে সমস্ত ডাটা থাকে এর সবকিছুই থাকবে একটি পরিধেয় বস্তুর মাঝে। বারক্লেকার্ড কর্মীদের জন্য একটি ডিসপ্লেতে তিনি প্লাস্টিকের আংটি, ব্রেসলেট, কি-চেইন দেখান, যেগুলোতে থাকা মাইক্রো চিপ ক্রেতার সমস্ত তথ্য ধারণ করে।
তিনি বলেন, এই প্রযুক্তিতে ক্রেতার আঙ্গুলের ছাপ বা চোখ স্ক্যান করে তার স্মার্ট ফোন দিয়ে ক্রেতার অবস্থান দেখা হয় এবং তিনি যেন নির্বিঘেœ কেনাকাটা শেষে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করা হয়। যদিও ক্যাশ, চেক, আর কার্ড আছে মূল্য পরিশোধের জন্য তবে এই প্রযুক্তি আমাদের আরও ১০ বছর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এই পদ্ধতিতে গ্রাহকের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কখনই কারও ডাটা বা অবস্থান তার অনুমতি ছাড়া চেক করব না। এবং এটি শুধুমাত্র জিনিসপত্রের জন্য করা হবে যখন ক্রেতা আমাদের নির্দেশ করবে। এফএ। সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী