নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে উন্নয়নের নামে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর, জায়গা-জমি, শ্মশানভূমি, দেবোত্তর সম্পত্তি জবরদখলের ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ ৯টি মানবাধিকার সংস্থার নেতারা। একটি বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছেন মোহনানন্দ সেবাশ্রম রক্ষা কমিটির অধ্যক্ষ শ্রী মৎস্বামী সুভাষানন্দ অবধূত।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেশের উন্নয়ন চাই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে যে জবরদখলের সংস্কৃতি চালু হয়েছে আমরা তার বিরোধী।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়েতে পটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণের নামে পটিয়া উপজেলার করল গ্রামের নাথপাড়া উচ্ছেদের প্রতিবাদে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি কামাল লোহানী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, এলএলআরডি এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, স্থানীয় মহানানন্দ অবধূত সেবাশ্রম মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী মৎস্বামী সুভাষানন্দ অবধূত প্রমুখ।
অন্যদিকে অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত বলেন, সরকারের ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী কোনো ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করে জমিন গ্রহণ করা যাবে না তবে এই প্রকল্পে মন্দির শ্মশানসহ কিছু ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস হবে তাই সরকারের উচিত এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম