জনশক্তি রপ্তানিতে সিন্ডিকেটের অভিযোগ বায়বীয় : বায়রা মহাসচিব
এনামুল হক: হাইকোর্টে মালয়েশিয়াসহ বিদেশে কর্মী প্রেরণে যেকোনো ধরনের সিন্ডিকেট বন্ধের নির্দেশ দিলেও এধরনের সিন্ডিকেটের অভিযোগকে বায়বীয় বলে নাকচ করে দিয়েছেন বায়রা মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন।
দীর্ঘ বিরতির পর মালয়েশিয়াতে বেসরকারি উদ্যোগে আবারও শ্রমিক রপ্তানির সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরু থেকে এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। অভিযোগ ্ওঠে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আর এ অভিযোগের তীর এসে পড়ে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপনের দিকে।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের একটি অংশ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়। রিটকারী জনশক্তিরপ্তানিকারক এসএম রফিক তার আবেদনে বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে নতুন করে সরকার উদ্যোগ নেয়। নতুন উদ্যোগে চাহিদা পত্রও পাঠাতে শুরু করেছে দেশটি। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু রপ্তানিকারককে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে এমন তথ্য পত্রিকায় এসেছে। যাকে আবেদনে অবৈধ সিন্ডিকেট সুবিধা হিসেবে অভিযোগ করা হয়। একই সাথে আবেদনে আইন ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজের জন্য জনশক্তি রাপ্তনিকারকদের সংগঠন বায়রা মহাসচিবকে কেন অপসারণ করা হবে না এ মর্মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ৪ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।
তবে রিটকারীর আবেদনকে মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন বায়রা মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন। তিনি খুব শিগগিরই এ রুলের জবাব দিবেন বলে জানান। বলেন, দেশের স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলে একটি চক্র সুবিধা নিতে চাইছে। জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টি উচ্চ আদালতে নিয়ে যাওয়ায় শ্রমিক রপ্তানিতে কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে, বায়রা মহাসচিব বলেন, এতে শ্রমিক পাঠাতে কোনো সমস্যা হবে না। রুলের জবাব দিলে সবার মধ্যে জন্ম নেয়া ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন বায়রা মহাসচিব।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে জি টু জি (সরকারি পর্যায়ে) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতে শুরু করে মালয়েশিয়া। সে অনুযায়ী শুধু সরকারিভাবে মালয়েশিয়ার ‘প্ল্যান্টেশন’ খাতে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু ‘প্ল্যান্টেশন’ খাতে কাজ করতে আগ্রহীর সংখ্যা কম হওয়ায় ওই উদ্যোগে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। সে সময় প্রতি ছয় মাসে ৫০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর লক্ষ্য ঠিক হলেও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসেবে গত তিন বছরে পাঠানো হয়েছে মাত্র সাত হাজার। এরপর জি টু জি পদ্ধতি সংস্কার করে এতে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।