আরিফ: র্যাবের পর এবার গুলশান ও কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার সূত্রের খোঁজে কলকাতায় এসে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে ধৃত আইএস এজেন্ট আবু আল-মুসাকে টানা জেরা করেছে এফবিআইয়ের ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
চলতি বছরের ৫ জুলাই সিআইডির হাতে ধরা পড়ার পর ধৃত মুসা প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি হেফাজতে ছিল। পরে মামলার গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) নেয়ার পর তাদের হেফাজতেই ছিল মুসা। পরে তাকে আবার জেল হেফাজতে পাঠানো হলেও র্যাবের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের সুবিধার জন্য এনআইএ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল । তার পর থেকে আবার জেল হেফাজতেই ছিল মুসা । কিন্তু এদিন আবার এফবিআইর গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের সুবিধার জন্য ২ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় এনআইএ।
এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সল্টলেকের এনআইএর সদর দফতরে আসে এফবিআইএ ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এনআইএ সূত্রের খবর, এনআইএ মুসাকে জেরা করে তাদের ও র্যাবের জেরা করে পাওয়া সব তথ্যই জিজ্ঞাসাবাদের সুবিধার জন্য তুলে দিয়েছে এফবিআইর হাতে। এনআইএর পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ থেকেই মুসাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এফবিআই গোয়েন্দারা। ভাষাগত সমস্যার জন্য এফবিআই ও মুসার মধ্যে দোভাষীর কাজ করছে এনআইএর দু জন গোয়েন্দা প্রতিনিধি।
এনআইএর সূত্রের আরও খবর, গুলশান ও কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার শিকারের খোঁজে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়া পাঁচ জেএমবি জঙ্গিকেও জেরা করতে পারে এফবিআই। এরা হলোÑ জাহিদুল, ইউসুফ, শহিদুল, রফিক, কালাম ও ফারুক। ধৃতদের মধ্যে রফিক ও জাহিদুলের বাড়ি বাংলাদেশে। প্রসঙ্গত এদের জেরা করেই এনআইএ ও র্যাব জানতে পারে ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা যে অ্যাসাল্ট রাইফেল ব্যবহার করে ২০ জন পণবন্দীকে নারকীয়ভাবে হত্যা করেছিল হামলার অস্ত্র তৈরি হয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায়। গুলশান হামলার কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশে জঙ্গিদের হাতে বেশকিছু একে ২২ রাইফেল ও পিস্তল পৌঁছে যায়। সূত্র: পূর্বপশ্চিম