আরিফুর রহমান: স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যসূচি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। শিক্ষার্থীদের ব্যাগের ওজন কমাতে হাইকোর্টের নির্দেশের পর এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতায় শিশুরা ভারি ব্যাগ নিতে বাধ্য হচ্ছে। ঢাকার কোমলমতি শিশুদের দিকে যেন তাকানোই যায় না। একেকজন নিজের চেয়েও বড় ও ভারি স্কুলব্যাগ বহন করছে।
সরকারের সিলেবাস ছাড়াও বাড়তি বই পড়াচ্ছে অনেক স্কুল। আবার কোচিং সেন্টারের চাপও আছে। অভিভাবকরা বলছেন, শিশুদের ওপর চাপ দিতে অনেকটা বাধ্য হচ্ছেন তারা। শিক্ষাবিদের মতে শিশুদের ওপর চাপ কমাতে সরকার, স্কুলকর্তৃপক্ষসহ অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।
শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেকটি স্কুলে নিজস্ব কিছু বই আছে, বইয়ের লেখক আছে। তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এই কাজটি করা হয়। এটা শিক্ষা দর্শনের পরিপন্থী বলে আমি মনে করি’।
এদিকে অধিদফতর বলছে, বর্তমানে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোকে এক করে একটি বইয়ে নিয়ে আসা যায়। তাহলে শিক্ষার্থীদের উপর বইয়ের চাপ কমবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক এলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বইয়ের ওজন কমানোর জন্য পদ্ধতি চলছে। বইয়ের সংখ্যা কমানো, পরীক্ষার সংখ্যা কমানোর কাজ চলছে’। বুধবার শিশুর ওজনের দশ শতাংশের বেশি ওজনের ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সূত্র: ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি