নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে তিন ধাপে কাজ করেছে হ্যাকাররা। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতরের একটি চক্র সহায়তা করেছে বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিআইডির তদন্ত দলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ যেভাবে রাখা হয়েছে, তা অত্যন্ত সুরক্ষিত। এটাকে জেনেশুনে বা বুঝেই অরক্ষিত করা হয়েছে। হ্যাকাররা এখানে তিনটি ধাপে কাজ করেছে। প্রথমত, রিজার্ভ সুরক্ষার পদ্ধতিকে ধাপে ধাপে অরক্ষিত করা হয়েছে। সেখানে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারাই এই কাজটি করেছেন। প্রধান কম্পিউটারটিতে ইন্টারনেট ছিল না, সেটাতে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, হ্যাকাররা সিস্টেম অরক্ষিত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই অর্থ সরানোর কাজে নেমে পড়ে। তৃতীয়ত, টাকা বের করে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের দুর্বল ব্যাংকিং পদ্ধতি যারা করে, সেসব ব্যাংককেই বেছে নিয়েছে হ্যাকাররা।
শাহ আলম বলেন, অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে কাজটি করা হয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিকচক্র জড়িত। আমরা কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি। তবে এই মুহূর্তে তাদের নাম বলতে চাই না। তাদের নাম বলা ঠিক হবে না।
অপরদিকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত চুরির দায় কার তা নির্ধারণ করা কঠিন বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম