উৎপাদনে সক্ষমতা হারাচ্ছে কুষ্টিয়া চিনিকল
আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া চিনিকলে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন নতুন যন্ত্রাংশ স্থাপন হয়নি। সংস্কার করা হয়নি মিলের অবকাঠামো। দেখে মনে হয় কোন পরিত্যক্ত কারখানা। পঞ্চাশ বছরের পুরাতন যন্ত্রাংশে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে অত্র অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মিলটি। ফলে সক্ষমতা হারিয়ে জেলার একমাত্র ভারি শিল্পটির উৎপাদন সক্ষমতা কমছে দিনকে দিন। এমতাবস্থায় উৎপাদন বাড়াতে হলে দ্রুত পুরাতন যন্ত্রপাতি অপসারণ করে নতুন যন্ত্রাংশ স্থাপনের দাবি সংশ্লিষ্টদের। শুধু পুরাতন যন্ত্রাংশই নয়, আখের উৎদান ক্রমশ কম হওয়ায় নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে এই চিনিকলটি।
চিনিকল সুত্রে জানা যায়, জেলার জগতি এলাকায় ১৯৬২ সালে স্থাপন করা হয় কুষ্টিয়া চিনিকল। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে প্রথম উৎপাদনে আসে মিলটি। ১৯৬৭ সালে উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে পনেরশ মেট্রিক টনে উন্নিত করা হয়। এরপর থেকেই মিলটি টানা উৎপাদনে রয়েছে। গত কয়েক বছর লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়েই আখ মাড়াই শুরু ও শেষ করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, দীর্ঘ ৫২ বছরে কোন নতুন যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়নি কুষ্টিয়া চিনিকলে। কুষ্টিয়া সুগার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, কুষ্টিয়া সুগার মিলে দীর্ঘ ৫২ বছরে বড় ধরনের কোন সংস্কর করা হয়নি। পুরাতন যন্ত্রাংশ রক্ষণাবেক্ষণ করে মিলটি চালাতে হচ্ছে। বর্তমানে মিলটি সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সম্পাদনা : তারেক