ডেস্ক রিপোর্ট: শিশুদের জীবনে এখন আকাশ, নদী, ফুল, পাখি কিছু নেই। সকালে স্কুলে যাবে, স্কুল থেকে এসে হোমওয়ার্ক করবে, তারপর একটু ডোরেমন কার্টুন দেখল, তারপর ঘুম। তাদের জীবনে যেন লেখাপড়া ছাড়া আর কিছু নেই! শিশুদের সুকোমল মনোবৃত্তির বিকাশে তাদের সঙ্গে প্রকৃতির সংযোগ স্থাপনে অভিভাবকদের উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর একথা বলেছেন। বিডিনিউজ। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও অভিভাবক সমাবেশে তিনি সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের উপরও জোর দেন। ‘শিশুদের স্বপ্নের পৃথিবী’ শীর্ষক এ আয়োজন করে ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, শিশুদের আমরা তাদের মতো করে বড় হতে দিচ্ছি না। এখন বাচ্চাদের রোবোটিক কায়দায় প্রতিপালন করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় শিশুদের আঁকা ছবিগুলো নিয়ে নূর বলেন, এসব ছবি দেখলেই বোঝা যায়, বাবা-মায়েরা তাদের শিখিয়ে দিয়েছে। ওদের মনের আকাশে যে কী ঘটছে, তা বোঝার উপায় নেই বড়দের। শিশুদের গ্রামে নিয়ে গিয়ে প্রকৃতি আর জীবজন্তুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশনের সভাপতি মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ফারজানা রাবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চিকিৎসক ও চিত্রপরিচালক অরূপ রতন চৌধুরী, ভারত বিচিত্রার সম্পাদক নান্টু রায় ও পর্বতারোহী এম এ মুহিত বক্তব্য দেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে কিশোরদের আত্মহত্যার প্রবণতার চিত্র তুলে ধরেন।
জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্রাইটার টুমরো ফাউন্ডেশন। ২০১৫ সালের ২৮ মে আত্মপ্রকাশের পর হতাশাগ্রস্ত তরুণদের নিয়ে কাজ করছে এই ফাউন্ডেশন। সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী