হাসান আরিফ: বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশে না কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে আলু উৎপাদন বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৯ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ আলু উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। একই সময়ে আলু রপ্তানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আলু রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। বর্তমানে দেশে আলুর অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় ৪১ লখ মেট্রিক টন। ফলে বছরে আলু উদ্বৃত্ত থাকে প্রায় ৫৪ লাখ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানি করা সম্ভব না হলে কৃষকরা আলুর ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন।
অন্যদিকে আলু রপ্তানি থেকে পাওয়া বৈদেশিক মুদ্রা থেকেও বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। নভেম্বরে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী গত নভেম্বরের চেয়ে সব্জি রপ্তানি বেড়েছে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সেই হিসাবে যদি আলুর রপ্তানি আরও বাড়ানো যায় তবে লাভবান হবে কৃষক ও দেশ। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার যে, আলু রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য গতবছর ৫ ফেব্রুয়ারি কৃষিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আলু উপদেষ্টা বোর্ডের ৪র্থ সভায় জানানো সিদ্ধান্তটি ছিলÑ আলু রপ্তানিকে উৎসাহিত করা হবে এবং রাশিয়ায় আলু রপ্তানির ক্ষেত্রে বর্তমান ২০ শতাংশ প্রণোদনা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০ সেপ্টেম্বরের ২৪ নম্বর প্রজ্ঞাপনে আলু রপ্তানির নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে হ্রাস করা হয়েছে। ফলে আলু রপ্তানিকারকরা আলু রপ্তানিতে উৎসাহ হারাবেন। কৃষকরাও বঞ্চিত হবে ন্যায্যমূল্য থেকে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন কৃষি মন্ত্রণালয়ে আলু রপ্তানির নগদ সহায়তা ১০ শতাংশের বদলে ২০ শতাংশ পুনর্বহাল রাখার জন্য একটি প্রস্তাব দাখিল করেছেন।
এ অবস্থায় আলু রপ্তানির নগদ সহায়তার হার পরিবর্তনসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা সংশোধন করে ১ জুলাই ২০১৬ থেকে আলু রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ২৫ শতাংশ নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম