ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে আসছে দ্বিতীয় আইনি চ্যালেঞ্জ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াকে পথচ্যুত করতে শিগগিরই আসতে পারে দ্বিতীয় আইনি চ্যালেঞ্জ। এবার এ চ্যালেঞ্জ জানাবেন ব্যারিস্টার জোলিয়ন মুঘাম কিউসি। প্রথম আইনি লড়াই এখন ব্রিটিনের সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে নির্ধারিত চার দিনের শুনানি শেষ। জানুয়ারিতে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু তার আগেই দ্বিতীয় গণভোট চেয়ে আয়ারল্যান্ডের হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন ব্যারিস্টার জোলিয়ন। এ জন্য তার প্রয়োজন ৭০ হাজার পাউন্ড। এই অর্থ এখন জনগণের দান থেকে সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, ব্যারিস্টার জোলিয়ন এর পূর্বে এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ডকে আয়কর নীতির বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এখন তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোটের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি আইরিশ হাইকোর্টে যে আবেদন জানাবেন তাতে বলা হবে, ব্রাসেলসকে বৃটেন লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ সক্রিয় করা নিয়ে যদি চিঠি দিয়ে থাকে বা জানিয়ে থাকে তা ভবিষ্যতে যে উল্টে দেয়া হয়। অর্থাৎ এর বিপরীতে অবস্থান নেয়া হয়। এক্ষেত্রে তিনি আমলে নিচ্ছেন আইরিশ সরকার, ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ও ইউরোপিয়ান কমিশন। ইউরোপিয় পার্লামেন্টের সদস্য এমন কিছু ব্রিটিশ এমপি আছেন। তারা ব্রিটেনকে ইউরোপের সঙ্গে রাখার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এখনও তারা সেই অবস্থানে আছেন। ব্যারিস্টার জোলিয়ন আশা করছেন এসব এমপিকে তিনি তার লড়াইয়ের সময় পাশে পাবেন। ওদিকে ব্যবসায়ী গিনা মিলার ও অন্য কয়েকজনের মামলার প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ডের হাইকোর্ট রায় দিয়েছে এর আগে। রায়ে বলা হয়েছে, ব্রিটেনকে ইউরোপের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে তার নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটাতে পারবেন না। অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করতে হলে তাকে অবশ্যই পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে। পার্লামেন্ট অনুমোদন না দিলে তিনি এ অনুচ্ছেদ সক্রিয় করতে পারবেন না। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ব্রিটিশ সরকার। সেই আপিলের শুনানি ৫ ডিসেম্বর থেকে চারদিন অনুষ্ঠিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এখন রায়ের অপেক্ষা। জানুয়ারিতে রায় দেবেন সুপ্রিম কোর্টের মোট ১১ জন বিচারক। তাদের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বৃটেন তো বটেই, একই সঙ্গে ইউরোপ ও সারা দুনিয়া। কারণ, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ওপর বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ হবে। এ অবস্থায় ব্যারিস্টার জোলিয়ন আয়ারল্যান্ডের হাইকোর্টে ওই আইনি লড়াই শুরু করতে চলেছেন। তিনি ইউরোপের সঙ্গে বৃটেনের বিচ্ছেদের বিষয়ে দ্বিতীয় গণভোট দাবি করছেন। তার দাবি বৃটেনকে ইউরোপ থেকে আলাদা করার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এমন বহু মানুষ এখন অনুশোচনা করছে। ওই ব্যারিস্টারের মতে, প্রকৃতপক্ষে এরই মধ্যে অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, যদি তা করা হয়েই থাকে তাহলে বৃটেনের সঙ্গে সমঝোতা শুরু না করে ইউরোপিয়ান কমিশন চুক্তিবদ্ধ দায়িত্ব লঙ্ঘন করছে। যদি অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করা না হয়ে থাকে তাহলে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের বৈঠকে যুক্তরাজ্যকে বাদ রেখে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ও আইরিশ সরকার। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ