চিরিরবন্দরের গ্রামীণ রাস্তাগুলোর বেহালদশা
চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে যত্র তত্র ভাবে ইটভাটা নির্মাণে প্রতিটি গ্রাম অঞ্চলের কাঁচা রাস্তাগুলোর বেহালদশা। গত কয়েক বছরের তুলনায় চিরিরবন্দর উপজেলায় এ বছর ৯টি নতুন ইটভাটা নির্মাণ হাওয়ায় গ্রাম অঞ্চলের কোন রাস্তায় বাদ নেই ভারী যানবাহন ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকা যানবাহন ট্রাক্টরের। বিশেষ করে নশরতপুর, সাতনালা, ফতেজংপুর, সাইতীড়া, আব্দুলপুর ও ইসবপুর এসব ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তা গুলিতে প্রায় সব রাস্তার অলিতে গলিতে দাফিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর। বর্ষা কালে টানা বর্ষণে রাস্তাগুলো দুই দিক থেকে ভেঙ্গে গেছে। আবার তার উপর দিয়ে ধরা মৌসুমে নদী থেকে বালি, আর ভাটা থেকে ইট আর ইটভাটার মাটি বহন করে ট্রাক্টর গুলি দিন রাত ছুটা ছুটি করছে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে।
এছাড়া কিছু নতুন ভাটা যোগ হাওয়ায় ভাটার মাটি সংগ্রহ করতে ব্যস্ত ইটভাটা মালিকরা। গ্রামের যেখান থেকে পাচ্ছে মাটি কেঁটে নিয়ে আসতেছে। উপজেলার প্রায় সব এলাকা থেকে মাটি সংরক্ষণ করছে মাটি সংরক্ষণ করতে গিয়ে ট্রাক্টরের আনাগোনা বেড়েই চলছে। বাদ যাচ্ছে না কোন কাঁচা রাস্তা। মানুষের যাতায়েতে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। কাঁচা রাস্তাগুলোতে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর তৈরী হয়েছে এক হাটু ধুলা, অতিষ্ট জনজীবন।
সাতনালা ইউনিয়নের বাসিন্দা এক স্কুল শিক্ষক মো: শাহীনুর রহমান বলেন, এভাবে ট্রাক্টর যাতায়েত বেড়ে চললে কাঁচা রাস্তাগুলো আর রাস্তা থাকবে না , বৈরী আবাওয়া থাকলে ধুলোর কারনে বাড়ি থেকে বের হাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। তাছাড়া চিরিরবন্দর উপজেলায় অনুমোদন হীন তৈরী হচ্ছে ইটভাটা। এরা মানছে না কোন পরিবেশ দুর্ষণ যার প্রভাব পড়ছে স্কুলগামী ছাত্র ছাত্রীদের।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: ফিরোজ আহমেদ জানান, কিছু কাঁচা রাস্তার সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন আসলেই কাঁচারাস্তা গুলোর সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। সম্পাদনা : তারেক