এস এম নূর মোহাম্মদ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা ৩ মামলা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই তিন মামলার অনুমোদন দিতে দীর্ঘ ৩ বছর সময় ব্যায় হওয়ায় দায়ীদের খুঁজে বের করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গতকাল রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এছাড়া এই মামলায় সরকারের আবেদন চলতি বছর দেওয়া হলেও তা বিচারিক আদালতে না পৌঁছানোর কারণ অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। আর দায়ীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ ও সুপ্রিম কোর্টের নিম্ন আদালতের কার্যক্রম তদারকি কমিটিকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে আব্দুর রাকিব সুমন ও রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৩টি মামলা করে পুলিশ। ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারিক আদালত। পরবর্তীতে এসব মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।
তবে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ, মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামিরা। শুনানি শেষে গত বছরের ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলা বাতিল ও আসামিদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। এদিকে চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল এই মামলাগুলোর অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু অনুমোদনের কপি এখনো বিচারিক আদালতে পৌঁছায়নি। গতকাল শুনানি শেষে আব্দুর রাকিব সুমন ও রবিউল ইসলামকে ৬ মাসের জামিন দেন উচ্চ আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান। পরে পাপিয়া বলেন, এরা দুজনেই হতদরিদ্র। ২০০৯ সাল থেকে আসামিরা বিনাবিচারে কারাগারে রয়েছেন। আর অনুমোদন ছাড়া এসব মামলায় অভিযোগ গঠন করা যায় না। তাই আদালত মামলাগুলো বাতিল করে দিয়েছেন। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু