ইসমাঈল হুসাইন ইমু: সীমান্তে অপরাধ দমন ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির ডগ স্কোয়াড
প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখছে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধায় কাজ করছে আইসিটি ব্যাটালিয়নও।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহের পর বিজিবির সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে গত আট বছরে বিজিবির অপারেশনাল সক্ষমতাও বেড়েছে। নানা আকর্ষণ আর নতুন সক্ষমতা অর্জনের মধ্যদিয়ে দেশের সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে প্রায় সোয়া দুশ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে এ সংস্থার গোড়াপত্তন ঘটে। এবছর প্রতিষ্ঠার ২২১তম বছর পালন করছে।
বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সদর দফতর) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুল করিম জানান, আইসিটি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের মাধ্যমে বিজিবিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়োগ কার্যক্রম, সার্ভিস রেকর্ড কম্পিউটারাইজেশন, দাফতরিক কাজে নিজস্ব ই-মেইল এবং ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থা চালুসহ আধুনিক আইপি ফোনের মাধ্যমে সদর দফতর থেকে ইউনিট পর্যায়ে ভিডিও কানেকটিভিটি স্থাপন করা হয়েছে। বিজিবির টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন করতে বিভিন্ন ইউনিটে ২৫২টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টেনা এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এলাকা রেডিও লিংকের মাধ্যমে ইন্টারনেটের আওতায় রয়েছে। বিজিবির ৫১টি ইউনিটে যুক্ত হয়েছে অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য সকল রিজিয়ন সদর দফতরে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। বিজিবির কর্মকা- ডিজিটাল করার লক্ষ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার চালু রয়েছে। এদিকে ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম বিজিবিতে ৯৭ জন নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত নারী সৈনিকদেরকে বিজিবির হাসপাতালগুলোতে, টেকনাফ, বেনাপোল, হিলি আইসিপিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিয়োজিত করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার চেকপোস্টগুলোতে বিজিবির নারী সৈনিক নিয়োগের মাধ্যমে সন্দেহভাজন মহিলাদেরকে তল্লাশি করা সহজ হয়েছে। এ বছর ১৯৪ জন নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে সীমান্ত ব্যাংকের লেনদেন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু