সাইফ নাসির: মার্কিন শীর্ষ তেল কোম্পানি এক্সন মোবিলের প্রধান নির্বাহী রেক্স টিলারসন ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন। এই কূটনীতিকের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ রয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার বাল্টিমোরে এক সেনা-নৌবাহিনীর মধ্যকার এক ফুটবল ম্যাচে ট্রাম্পের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন টিলারসন। ট্রাম্প শিবিরের এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে টিলারসনের এটি দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। গত মঙ্গলবারও নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে ট্রাম্প টাওয়ারে টিলারসন ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ট্রাম্পের অন্তর্র্বর্তীকালীন উপদেষ্টা কমিটির সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিএনএন জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ট্রাম্পের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন টিলারসন।
তবে টিলারসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়া না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না করে, ট্রাম্প শিবিরের মুখপাত্র জ্যাসন মিলার এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না। ৬৪ বছর বয়সী টিলারসন ৪১ বছর ধরে এক্সন মোবিলে কাজ করছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি রোসনেফটের সঙ্গেও বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করেছেন। ২০১১ সালে রাশিয়ার উপর মার্কিন আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় রোসনেফটের সঙ্গে এক্সনের যৌথ কাজের সমাপ্তি ঘটে। তখন রোসনেফটের সঙ্গে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ছিল এক্সনের। আর এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করেন টিলারসন। ২০১৩ সালে রুশ কর্তৃপক্ষ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে টিলারসনকে অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপ পুরস্কার প্রদান করে। এর পরের বছরই রুশ ফেডারেশনে ইউক্রেনের বিতর্কিত প্রদেশ ক্রিমিয়ার অন্তর্ভুক্তির ফলে আবারও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয় রাশিয়া। তখনও এই সিদ্ধান্তকে ‘ক্ষতিকর’ উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেন টিলারসন।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল জানান, টিলারসনের সঙ্গে রোসনেফটের প্রধান নির্বাহী ইগোর সেচিনের ‘খুবই ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক রয়েছে। সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ইগোর সেচিন ১৯৯০ সাল থেকে ভøাদিমির পুতিনের বন্ধু। মার্কিন নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হস্তক্ষেপের জন্য ইগোর সেচিনকে সরাসরি দোষারোপ করছে বর্তমান মার্কিন প্রশাসন। সম্পাদনা: ফয়সাল খান।