মবিনুর রহমান: সিলেট ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির কোপে মারাত্মক জখম খাদিজা আক্তার নার্গিসের এখন সারা দিন কাটে ফিজিওথেরাপিতে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) স্থানান্তর হবার পর ফিজিওথেরাপি চলছে বলে জানান নার্গিসের চাচাত ভাই নূর হোসেন। গতকাল রোববার আমাদের অর্থনীতিকে তিনি জানান, সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় নার্গিসের ফিজিওথেরাপি। অল্প বিরতি পর পর থেরাপি শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। নার্গিসকে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পায়ের ব্যায়াম করানো হয়। এরপর ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাতের। আর দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে উচ্চারণের অনুশীলন। বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত তাকে হাটানো হয়। এভাবে প্রতিদিন চলে থেরাপি। গত ২৮ নভেম্বর সিআরপিতে ভর্তি করা হয় নার্গিসকে।
এদিকে নার্গিসের থেরাপি চিকিৎসক ডা. ইসরাত জাহান উর্মী জানান, সিআরপি’র নিউরো সার্জন ডা. সাইদ উদ্দিন হেলালের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের চিকিৎসক টিম নার্গিসের সার্বিক উন্নতির চেষ্টা করছেন। বর্তমানে নার্গিসকে স্পিচ এন্ড লেংগুয়েলজি, অকুপেশন এবং ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, সিআরপিতে ভর্তি হওয়ার আগে নার্গিসের ‘মাসেল পাওয়ার’ ছিল ২। স্বাভাবিক অবস্থায় যা থাকার কথা ৫। আগামী তিন মাসে তার মাসেল পাওয়ার স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য খাদিজার পায়ে ওজন ঝুলিয়ে শরীর চর্চা এবং হাটানোর অভ্যাস করানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি হাতের ব্যায়াম করানো হচ্ছে তাকে।
নার্গিস খুব দ্রুত উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে ব্রেন ইনজুরি রোগী হওয়ায় যে কোনো সময় তার শরীরের উন্নতি ও অবনতি হতে পারে বলে জানান ডা. উর্মী।
নার্গিসের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালানোর জন্য সিলেট রয়েছেন তার বাবা মাশুক মিয়া। বর্তমানে নার্গিসের কাছে রয়েছেন তার চাচাত ভাই নূর হোসেন। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন