আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দলিত ও সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হলে ভারত আবারো ভাগ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি। আরটিএনএন
তিনি বলেছেন, ‘ভারত সাংবিধানিকভাবে প্রতিটি নাগরিককে ব্যক্তি স্বাধীনতা দিয়েছে। এ অধিকার বলে প্রতিটি নাগরিক আপন বলয়ে থেকে নিজ নিজ কাজ করার অধিকার রাখে। ভারতবর্ষে যদি দলিত ও সংখ্যালঘুদের অযাচিত টার্গেটে পরিণত করা হয় তাহলে ভারতকে আবার ভাগ করা হবে’। আরঙ্গবাদে হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সমবেত হওয়া এক সমাবেশ শেষে ‘ভারত টিভির’ এক মন্তব্যে মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেন, ‘মুসলমান তাদের নিজস্ব মুসলিম আইনে নিজেদের সংশোধন করবে। আর মুসলমানদের ধর্মীয় কোনো ব্যাপারে কেবল মুসলমানদেরই মত গ্রহণ করা হবে পুরো রাষ্ট্রের মত নয়’। তিনি বলেছেন, ‘দেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে ব্যক্তি স্বাধীনতা দিয়েছে। আর সাংবিধানিক অধিকারের ঊর্ধ্বে কিছু নেই্। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সবসময়ই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধ কণ্ঠকে গুরুত্ব না দিয়ে তারাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে’। ক্রমবর্ধমান সাম্প্রতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িকতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রহস্যজনক নীরবতার উপহাস করে জমিয়তে হিন্দের সভাপতি বলেন, ‘এদেশ থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত, ভোটাধিকার হরণ করার কথা যখন চলছিল নরেন্দ্র মোদি তিন বছর পর্যন্ত চুপ ছিলেন আর যখন মুখ খুললেন তখন তিনি মুসলিম নারীদের তিন তালাকের অধিকার দেওয়ার বিষয়ে কথা বললেন যা বড়ই উদ্বেগ জনক’। মাওলানা আরশাদ মাদানি ভারত সরকারের প্রতি আঙ্গুল উঁচিয়ে বলেন, ‘যদি দলিত ও সংখ্যালঘুদের অযাচিত টার্গেটে পরিণত করা হয় তাহলে ভারতকে আবার ভাগ করা হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ