জয়ললিতার মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য, সিবিআই তদন্তের দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তার জেরেই এবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। আম্মার মৃত্যু রহস্য ফাঁস করতে সিবি আই তদন্ত দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি চেন্নাইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। সংবাদ প্রতিদিন
আম্মার মৃত্যুর পর থেকেই তার মৃত্যুকে ঘিরে নানা ধরনের জল্পনা চলছে। চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে জয়ললিতা চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের অভ্যন্তরে ঠিক কীভাবে ছিলেন তিনি, ঠিক কী ছিল চিকিৎসা পদ্ধতি – এসব প্রশ্নের উত্তর জানা যায়নি। এখানেই থেমে নেই বিষয়টি। জানা গেছে, আম্মা যে কেবিনে ভর্তি ছিলেন, সেখানে ছিল না কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা। তাই গত আড়াই মাসে আম্মার শারীরিক অবস্থা ঠিক কেমন ছিল তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অন্যদিকে এবেলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবেরী নদীর ধারে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন জয়ললিতার পরিবারের লোকজন। যেহেতু তার দেহ কবর দেওয়া হয়ে গিয়েছিল, তাই পুরোহিতের নির্দেশানুযায়ী কাপড়ের একটি পুতুল তৈরি করে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। জয়ললিতার সৎভাই বরদারাজু প্রশ্ন তোলেন ‘আমার দিদি নাস্তিক হলে তো মন্দিরে যেত না, বা কোনও হিন্দু উৎসবে ভাগও নিত না। তা হলে মৃত্যুর পর, দল তাকে দাহ না করে কবর দিল কেন? তার অন্ত্যেষ্টি করতে দেওয়া হল না কেন আমাদের?’ তার আপে, পরিবারের সঙ্গে একবার অন্তত আলোচনা করা উচিৎ ছিল দলের। ৫ ডিসেম্বর জয়ললিতার মৃত্যুর পরে, তাকে তার ‘রাজনৈতিক গুরু’ ও অভিনেতা এমজি রামচন্দ্রনের পাশেই সমাহিত করা হয়। কিন্তু, জয়ললিতা হিন্দু ছিলেন। তাই তার পরিবার এই অন্তিম ‘নিয়ম’ মেনে নিতে পারেননি। তাদের মতে, হিন্দু ধর্মানুসারে অন্ত্যেষ্টি না হলে, জয়ললিতার আত্মার মোলাভ হবে না। তাই, শ্রীরঙ্গাপটনায় কাবেরী নদীর ধারে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন জয়ললিতার পরিবারের লোকজন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ