বিজয় স্মরণীতে ট্রাফিক পুলিশের ‘দড়ি কৌশল’
রিকু আমির: সিগন্যাল দিয়ে, স্বশরীরে যানবাহনের সামনে দাঁড়িয়েও গতি রোধ করতে না পেরে রাজধানীর বিজয় স্মরণী এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বেছে নিল ‘দড়ি কৌশল’! বুধবার বিকালে সরেজমিনে দড়ি দিয়ে যানবাহন আটকানোর কৌশল বাস্তবায়নের দৃশ্য দেখা গেছে। মূলত মোটর সাইকেলের দিকেই ট্রাফিকের লক্ষ্য সবচেয়ে বেশি।
বিজয় স্মরণী চৌরাস্তার সংযোগস্থলটি ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগের দুই জোনে পড়েছে। সংসদ ভবন এলাকামুখী রাস্তার বিপরীত দিকে দুই লেনের যে রাস্তা মহাখালীতে মিশেছে, সে রাস্তা তেজগাঁও এবং ফার্মগেট থেকে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেট যাওয়ার রাস্তার অংশটি পড়েছে ট্রাফিকের শেরে বাংলা নগর জোনে। শেরে বাংলা নগরের অংশে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মাসুদ দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রশ্নে বলেন, প্রায়শই দেখা যায়, সিগন্যাল দিলেও তা অমান্য করে- বিশেষ করে মোটর সাইকেল। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেও সুফল মিলানো দুষ্কর। সিগন্যাল অমান্যের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমনি বৃদ্ধি পায় তেমনি সিগন্যাল অনুযায়ী যান চলাচলেও কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এই ব্যস্ততম সড়কের জন্য কিছুটা ব্যাঘাত মানেই অনেক কিছু। সেজন্য দড়ি দিয়ে আটকে রাখার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজয় স্মরণী সিগন্যাল পার হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেটের পথে, সংসদ ভবনের রাস্তা হয়ে ফার্মগেট সড়কে মেশার পথে, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেট হয়ে ফার্মগেট যাওয়ার পথ ও এর সংলগ্ন মহাখালী যাওয়ার দুই লেনের রাস্তার এক পাশে দড়ির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে দৈনিক আমাদের অর্থনীতি যখন সংসদ ভবন এলাকামুখী রাস্তার বিপরীত দিকে দুই লেনের রাস্তায় সিগন্যালে দাঁড়ায়, তখন দেখা যায়, সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম তার ট্রাফিকের আরেকজন সদস্য নিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা দড়ি টানটান করছিলেন।
সিরাজুল ইসলাম দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, তারপরও মোটর সাইকেল চলে যায়। দড়ি উচুঁ করে চলে যায়।
শেরে বাংলা নগর জোনের অংশে কর্তব্যরত সার্জেন্ট মাসুদ বলেন, দড়ি দিয়ে যেভাবে যানবাহনগুলো সারিবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হয়, তা দেখতেও সুন্দর, আমাদের কাজও সুন্দর ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করা যায়।
আরেকটি প্রশ্নে তিনি বলেন, সবসময় এ কৌশল অবলম্বন করা হয় না। আমাদের লক্ষ্য পিক আওয়ারে এটা করা। এ সময়েই যানবাহনের চাপ থাকে খুব বেশি। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম