রাগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলায় স্যাগ্রহণ শেষ
আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট: সিলেটের তারাপুর চা বাগান দখলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি মামলায় শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে স্যাগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে এ স্যাগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান জানান, জালিয়াতি মামলায় ১৪ জন সাী ছিলেন। তন্মধ্যে ১২ জনের স্যা আগেই গ্রহণ করা হয়েছিল। গতকাল আরও দুজনের স্যাগ্রহণ করা হয়। মামলার পরবর্তী তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর আসামিদের আবেদনের প্রেেিত জালিয়াতি মামলায় পুনরায় স্যাগ্রহণ শুরু হয়। একইদিন প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। প্রসঙ্গত, প্রতারণার মাধ্যমে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির আলোচিত দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগস্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। স্মারক জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরোয়ানা জারির পরপরই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী। পরে আবদুল হাই সীমান্তে গ্রেফতার হন। রাগীব আলী ভারতে গ্রেফতার হয়ে দেশে এসে কারাবরণ করেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম