রেস্টুরেন্টের আড়ালে মদের ব্যবসা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: রাজধানীতে রেস্টুরেন্টের আড়ালে চলছে মদের ব্যবসা। নিয়ম না মেনে প্রভাবশালীদের সহায়তায় এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপ। অভিযোগ রয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একশ্রেণির অসাধু সদস্যের যোগসাজশ থাকায় নিয়মবহির্ভূত এ ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর এসব কথিত বারের লাগাম টেনে ধরা হলেও বর্তমানে তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। তবে সম্প্রতি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসব অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে আবারও অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে গুলশান এলাকায় অন্তত ১৫টি বিদেশি খাবারের রেস্তোরাঁ রয়েছে। খাবারের ব্যবসা করার জন্য বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমতি থাকলেও এসব রেস্তোরাঁয় মদ বিক্রির অনুমতি নেই। তারপরও সেখানে অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ-বিয়ারের বেচাকেনা চলছে। এছাড়া রামপুরা ও ধানমন্ডিসহ আরও কয়েক এলাকায় একই ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে সাহস পায় না আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কূটনৈতিক সুবিধার দোহাই দিয়ে এসব রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। আবার সাহস করে অভিযান চালানো হলেও দূতাবাস থেকে সরাসরি হস্তপে করা হয় বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুলশান এলাকায় রেস্টুরেন্টের আড়ালে মদ-বিয়ার বেচাকেনার তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। আগেও একাধিকবার তালিকা ধরে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযানের আগেই তারা টের পেয়ে যায়। তবে সম্প্রতি একটি ঘটনার পর নতুন তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ওই তালিকা ধরে অভিযানও চালানো হচ্ছে। তারা জানান, জনবল ও সরঞ্জাম সংকটসহ নানা সমস্যা সত্ত্বেও মাদকের বিস্তার ঠেকাতে ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধান হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর আরও শক্তিশালী হবে।
সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তরফ থেকে এসব হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিককে ডেকে অবিলম্বে মদ-বিয়ার বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়। একই সঙ্গে রেস্টুরেন্টের সামনে ‘মদ-বিয়ার বিক্রি করা হয় না’ মর্মে নোটিস টানিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু তালিকাভুক্ত এসব হোটেল-রেস্তোরাঁ ঘুরে ‘মদ-বিয়ার বিক্রি হয় না মর্মে’ কোথাও কোনো নোটিস দেখা যায়নি। সম্পাদনা: আনোয়ার