আরিফুর রহমান: সীমান্তে কঠোর নজরদারি পরেও প্রতিদিনই অবৈধভাবে প্রবেশ করছে অসংখ্য রোহিঙ্গা। এই সুযোগে সরকারি জমিতে ঘর ভাড়া দিয়ে ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা, বলছে প্রশাসন।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের জঙ্গলে সারি সারি কুঁড়ে ঘর। ভাড়া যার কাছ থেকে নেয়া যায় যেমন। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ভাড়া দেয়া হচ্ছে এসব ঘর। এরই মধ্যে কারো কাছ থেকে নেয়া হয়েছে এক হাজার, কারো থেকে ৫শ’ টাকা। মাস শেষে সবাইকে দিতে হবে আরো ৩শ’ টাকা করে।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে টেকনাফ এবং উখিয়ায় তৈরি হয়েছে অন্তত ৫শ’ ঘর।
রোহিঙ্গাদের একজন বলেন, আমরা কোথাও ঠাঁই না পেয়ে এখানকার একজনকে বাবা ডেকেছি। সে আমাদের থাকতে দিয়েছে, প্রতিমাসে কত টাকা দিতে হবে জানি না।
আরেক রোহিঙ্গা বলেন, আমরা মিয়ানমার থেকে এসে এখানে ঘর বেঁধেছি। প্রতি মাসে ঘর ভাড়া দিতে হয়। আমাদের কোনও উপার্জন নেই। আমরা কিভাবে চলবো বুঝতে পারছি না। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ জনপ্রতিনিধিরা। দোষ চাপাচ্ছেন ক্যাম্পে থাকা নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের ওপর। ক্যাম্প এলাকায় কাজ করছে গোয়েন্দারা। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে পুলিশ।
একটি বেসরকারি এনজিওর হিসেবে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতার পর থেকে এ পর্যন্ত একুশ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। ইনডিপেনডেন্ট টিভি