মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে দুটি লাইটারেজ জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষে এম ভি ল্যাবস্-১ নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। এ সময় ডুবে যাওয়া জাহাজে থাকা ১৩ জনকে দ্রুত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বুধবার ভোরে কর্ণফুলী নদীর চ্যানেলে প্রবেশে পথে ১ ও ৩ নম্বর বয়ার মাঝখানে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিকট শব্দে এম ভি ল্যাবস্ -১ এর তলদেশে ফাটল সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড পূর্বজোনের চিফ শহিদুল ইসলাম জানান, অন্য একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় এম ভি ল্যাবস্-১ জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ডুবতে শুরু করে জাহাজটি। এসময় জাহাজ থেকে ভিএইচএফ সেটে কোস্টগার্ড-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাৎণিক কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহলে থাকা জাহাজ সিজিএস তৌহিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাইটার ভেসেলটিকে চ্যানেল থেকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে বিচিং করে। এ সময় উক্ত জাহাজে থাকা ১৩ জন মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয় বলে তিনি জানান। জাহাজ ডুবি নিয়ে বন্দর কর্তৃপ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর চ্যানেলের মুখে সিমেন্ট কিংকার বোঝাই এম ভি ল্যাবস্-১ জাহাজটি নোঙ্গর করা ছিল। এ সময় এমভি আরেফিন নামে অপর একটি লাইটার জাহাজ এম ভি ল্যাবস্-১ কে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ল্যাবসের তলা ফেটে ডুবে যেতে থাকে। এ অবস্থায় ক্যাপ্টন জাহাজটি চ্যানেল থেকে সরিয়ে দ্রুত উপকূলের দিকে নিয়ে যেতে চাইলে পার্কি বিচের কাছে জলদিয়া ট্রেডিং ওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তা ডুবে যায়। এদিকে সন্দ্বীপ চ্যানেলে বুধবার সকাল ৭টার দিকে গ্লোরিয়াস শ্রীনগর-৪ নামে ভুট্টাবাহী একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। এমবি টিটু নামে আরকেটি লাইটার জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলা ফুটো হয়ে গেলে এ জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে। দারুল গাফফার নামে আরেকটি পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ কুয়াশার কারণে ডুবোচরে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে ডুবে যায়। এছাড়া সন্দ্বীপ চ্যানেলে আল জামি-২ নামে একটি পণ্যবাহী লাইটার জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মাঝখানে এমবি মজনু নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। একই চ্যানেলে এমবি প্রিন্স আরেফিন নামে আরেকটি জাহাজ ডুবতে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। সম্পাদনা: তারেক