তিস্তা চুক্তির আশ্বাস না পেলে ফেব্রুয়ারিতেও ভারত যাবেন না প্রধানমন্ত্রী!
মাছুম বিল্লাহ: তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির পূর্ণাঙ্গ আশ্বাস না পেলে ফেব্রুয়ারিতেও দিল্লি সফরে যাবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১৮ ডিসেম্বর তিন দিনের ভারত সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু সেটি স্থগিত হওয়ার পর গত শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর দেখা করে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ্বে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এখন দুই দেশের কর্মকর্তারা বসে তা ঠিক করবে।
তবে কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘তিস্তা চুক্তির সইয়ের আশ্বাস না পেলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ চুক্তিটি যাতে এই সফরে হয় সে জন্য দিল্লির সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা। এতে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর সাউথ ব্লকের কর্মকর্তারাও একমত হয়েছেন। তারা এ চুক্তিটি সইয়ের বিষয়ে চেষ্টা করছেন।’
সূত্রটি জানায়, বর্তমানে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে মোদির সম্পর্কের কারণে এই মুহুর্তে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনো সুখবর নেই। তাই তিস্তা চুক্তি নিয়ে নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত ভারত সফরে যেতে ইচ্ছুক নন প্রধানমন্ত্রী। এ কারণে ফেব্রুয়ারিতেও প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর পিছিয়ে যেতে পারে।’
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, তিস্তা চুক্তি বিষয়ে অত্যধিক জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ এ চুক্তি নিয়ে অতীতে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। তাই এ নিয়ে সমালোচকদের আর সুযোগ দিতে চান না তিনি। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় প্রয়োজনীয় সেচের পানি থাকে না। তিস্তার পানির অভাবে দেশের উত্তরাঞ্চল দিনদিন মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন।
তাই তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির ব্যাপারে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টি নয়াদিল্লিকে জানানো হয়েছে। তারাও এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই রাষ্ট্রীয় সফর। এ সফরে ভারতের সঙ্গে নতুন প্রতিরা চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তিস্তা নিয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হলে ফেব্রুয়ারিতেও প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর পিছিয়ে যেতে পারে বলে ওই সূত্রটি জানিয়েছে।