চীন ও পাকিস্তান ইস্যুতে নাস্তানাবুদ ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তার বিরুদ্ধে ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে অভিযোগের তালিকা। ােভ জমা হচ্ছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরা মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ফলে আসন টলমল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। আনন্দবাজার
ডোভালের বিরুদ্ধে অভিযোগ বহু। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়হীনতা। সীমান্তে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ঘরের নিরাপত্তায় ফাঁক। বৃহত্তর কূটনীতির প্রয়োজনে যে অভিযান গোপন রাখা উচিত ছিল, তা নিয়ে বুক বাজাতে গিয়ে পরিস্থিতি আরো ঘোরালো করে তোলা। চীন ও পাকিস্তান— দুই পড়শির সঙ্গে সংঘাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হওয়া। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া।
সূত্রের খবর, এই সব কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরা মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অসন্তোষ এতটাই বেড়েছে যে তাকে সরিয়ে দেয়ার দাবি উঠছে। ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ’— এই রাকবচ অবশ্য এখনো রয়েছে প্রাক্তন এই গোয়েন্দা প্রধানের। তবে সাউথ ব্লক মনে করছে, ঘরোয়া ােভ এতটাই বেশি যে, এই রাকবচ সত্ত্বেও বেশি দিন বহাল থাকবেন না ডোভাল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘প্রতিটি বৈঠকে রুটিন করে নিরাপত্তা এজেন্সির কর্তারা আমাদের ব্রিফ করতেন। সে সব উঠে গেছে। কোন এজেন্সি কী করছে, কেউ জানে না।’ নিরাপত্তা েেত্র বহু বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে বাইরে রেখে! মন্ত্রণালয়ের এক কর্তার আপে, ‘চিদম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় প্রতিদিন সকালে তাকে আইবি, র, সেনাকর্তারা ফোন করতেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতেন। এখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানতে চেয়েও অন্ধকারে থাকেন।’
ডোভালকে নিয়ে অস্বস্তিতে পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্করও। তার ঘনিষ্ঠ এক আমলার কথায়, ‘উরি হামলার জবাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরও ডজন খানেক জঙ্গি হামলা হয়েছে। প্রায় ৩০ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ