বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করা হয় সবকটি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: শিশু কিশোর সংগঠন এবং সামরিক বেমাসরিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়োজন ছাড়াও এবারের কুচকাওয়াজে নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতির প্রদর্শন। দুই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই কুচকাওয়াজে মন্ত্রণালয়গুলো গাড়ি সজ্জিত করেন তাদের কাজগুলো নিয়ে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ট্রাকটি সজ্জিত ছিলো গাছপালা এবং খাদ্য শস্যে ভরা। বাংলাদেশ যে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছে এবং ঘাটতি শূণ্যের কোঠায় নিয়ে এসেছে তার স্লোগান ছিলো প্রদর্শনীর অগ্রভাগে। ধীরে ধীরে রাষ্ট্রপতিকে সালাম দিয়ে মন্ত্রণালয়ের গাড়ীগুলো যখন পার হচ্ছিলো তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত দর্শকরা হাততালি দিয়ে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছিলো। এছাড়া বরাবরের মতো এবারও ছিলো শিশু কিশোরদের বিভিন্ন ধরণের ডিসপ্লে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরছিলো। কোমলমতি শিশুরা নাচেগানে শহীদদের স্মৃতি আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন এই কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। এ উপলক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডকে সুচারুভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় চার নেতা এবং সাত বীর শ্রেষ্ঠদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিজয় দিবসের এই কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের কন্টিনজেন্ট, আধাসামরিক বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষযয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাভারের নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অধিনায়ক এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের ৮১ কমান্ড ব্রিগেড-এর কমান্ডিং অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম আনিসুজ্জামান উপ-অধিনায়ক হিসেবে কুচকাওয়াজের পরিচলনা করেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজে মিগ-২৯ ‘ফ্লাইপাস্ট’ এবং ‘এ্যারোবেটিক ডিসপ্লে’সহ সেনা বাহিনীর বিমান, নৌ বাহিনীর বিমান এবং র্যাবের হেলিকপ্টার প্যারাট্রুপারদের অবতরণ প্রত্যক্ষ করেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সাবেক সেনা প্রধানগণ, উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং তাদের সহধর্মিনীরা এতে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ভারত ও রাশিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা ৪৬ তম বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে সস্ত্রীক ঢাকায় আসেন। তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টামন্ডলী, সংসদ সদস্য, তিনবাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।সম্পাদনা: সুমন ইসলাম