এক সন্তান নীতির পরিবর্তনে চীনের জনসংখ্যা বেড়েছে ৫.৭ শতাংশ
আবদুল্লাহ তারেক: দীর্ঘ তিন দশকের ‘এক সন্তান নীতি’ সংশোধন করে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ‘দুই সন্তান নীতি’র ঘোষণা দেয় চীন সরকার। এর ফলে ২০১৬ সালে চীনের জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭.৫ মিলিয়ন। যা গত বছরের তুলনায় ৫.৭ শতাংশ বেশি বলে শুক্রবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ডেইলি গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
চীনে জনসংখ্যা নীতি পরিবর্তনের প্রভাবে ধীরে ধীরে জন্ম হার বাড়ছে বলে মনে করেন চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমিশন। এই বছর জন্ম নেয়া শিশুর সংখ্যা গত এক শতাব্দির তুলনায় সবচেয়ে বেশি।
২০১৩ সাল থেকে মূলত দুই সন্তান নেওয়ার আইন চালু হয় চীনে। তবে তখন যাদের একটি সন্তান ছিল তারাই কেবল দুইটি সন্তান নিতে পারতেন। ২০১৬ সাল থেকে সবার জন্য প্রযোজ্য হয় এই আইন।অক্টোবরে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত জন্ম নেওয়া ৪৪ ভাগ শিশু তাদের পিতা-মাতার দ্বিতীয় সন্তান। যা ২০১৫ সালের তুলনায় ৯.৮ শতাংশ বেশি। চীনের প্রধান শহরগুলোতে জন্ম নেওয়া শিশুর ৫০ ভাগের বেশি শিশুই তাদের বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। পরিসংখ্যাণবিদরা আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে চীনের কর্মক্ষম জনসংখ্যা ৩০ মিলিয়ন হবে বলে ধারণা করছেন। ১৯৭০ সালে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঠেকাতে চীন ‘এক সন্তান নীতি গ্রহণ করে। তবে জনসংখ্যার বার্ধক্যজনিত কারণে ভবিষ্যৎ অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ার আশংকায় এই নীতি থেকে সরে আসে চীন।
অনেক বিশেষজ্ঞ অভিমত দিয়ে বলেন, দুই সন্তান নীতি করে জনসংখ্যার বার্ধক্যজনিত সমস্যার সমাধান হবে না। এ ক্ষেত্রে পরিবারগুলোকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া উচিৎ। এসবিএস নিউজ