বঙ্গভবনের মাঠে বিজয় দিবসের কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সুরের মূর্ছনায় আর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর হলো চারিদিক
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: বঙ্গভবনের মাঠে বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তির কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে গাওয়া একাত্তরের সেই উত্তাল সময়ের গান আর সুরের মূর্ছনা এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে বঙ্গভবন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিকাল ৪টার একটু পর স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল বঙ্গভবনের মাঠে উপস্থিত হন রাষ্ট্রপতি। এর কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠঅনে অংশ নেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা পেশার মানুষের পদচারণা ছিলো রাষ্ট্র প্রধানের বাসভবনে।
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। তারা ভারত ও শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন। অনুষ্ঠান মাঠের ভিভিআইপি এনক্লোজারে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেক কাটেন।
কেক কাটার পর তারা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি অতিথি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সমারিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বরেণ্য শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান, শিশুশিল্পী আর সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সংগীতের মূর্ছনায় এসময় উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।
মন্ত্রীদের মধ্যে বঙ্গভবনের এই অনুষ্ঠানে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ,প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান,শ্রমপ্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আইনজীবী আমির-উল-ইসলাম, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শিল্পী রফিকুল আলম, শাকিলা জাফর, ফাহমিদা নবী, সন্দীপন, প্রিয়াংকা বিশ্বাস ও সজীব দাস গেয়ে শোনান। এছাড়া শিশু একাডেমির শিশু শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম