উম্মুল ওয়ারা সুইটি : আমার জন্য আমার বোনকে সংসার ছাড়তে হয়েছে। গত বছর বার্ষিক পরীক্ষার পর বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে বোনের দেবর বাজে প্রস্তাব দেয়। রাজি না হলেও পিছু ছাড়ে না। বোনকে বলেছিলাম এবং সে বললো কাউকে বলিস না। দু/চারদিন পর তোকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবো তোর দুলাভাইকে দিয়ে।
ওই দেবর বিষয়টি টের পায় এবং একদিন সুযোগ বুঝে তাকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। কোনো রকমে ওর হাত থেকে ছুটে এসে মেয়েটি বোনের ঘরে আশ্রয় নেয় এবং দুলাভাইয়ের সামনেই বিষয়টি উপস্থাপন করে।
দুলাভাই প্রথমে তেড়ে তার ভাইকে শাসন করতে যায় এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে। পরের দিনই মেয়েটি চলে আসে নিজের বাড়ি। সে বোনের অনুরোধে বাড়ি এসে বাবা-মাকে কিছু জানায়নি। কিন্তু ঘটনা সেখানে শেষ হয়নি। বোনের বাড়িতে এই বিষয় নিয়ে চলতে থাকে অস্থিরতা। শেষ পর্যন্ত একমাস পর বোন শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে চরিত্রহীনার অপরাধে।
কথাগুলো ১৩ বছরের কিশোরী সুমাইয়ার কথা। সে চৌদ্দগ্রামের একটি কৃষক পরিবারের সন্তান। শখ করে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো। ফিরলো অপবাদ নিয়ে। আর তার বড় বোন এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজেও দুশ্চরিত্রা হয়ে ফিরেছে। ছোট বোন চলে আসার পর ওই দেবর তার ভাইকে বোঝাতে থাকে মেয়েটিই তাকে বিভিন্নভাবে উত্তক্ত করেছে। আর তার ভাবীই ছোটবোনকে লেলিয়ে দিয়েছে, ভাইয়ের কাছে তাকে খাটো করার জন্য। কারণ ভাবী চান না, তারা দুই ভাই একসঙ্গে থাকুক। তাতে তার সমস্যা। কারণ চাচাতো এক দেবরের সঙ্গে তার বাজে সম্পর্ক। স্বামী খোঁজ নিয়ে দেখেছে তার বউকে তার চাচাতো ভাইয়েরা বেশ পছন্দ করে। গল্প করতে আসে। তারপর একদিন ওই দেবর এক ট্রেপ তৈরি করে। এভাবে নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে একটি সংসার ভেঙে যায়।