কামরুল আহসান: ১০টি যুদ্ধবিমান আর ১০টি রণতরী নিয়ে কোরিয়ার কাছাকাছি বোহাই সাগরে চীন যুদ্ধমহড়া করেছে। পুরো মহড়াটি প্রথমবারের মতো জাতীয় টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত হয়েছে। মহড়ার অংশ হিসেবে মিসাইলও নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় আমেরিকাসহ দক্ষিণ চীন সাগরে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। চীন কাউকে তাদের শক্তিমত্তা দেখাতে চাচ্ছে নাকি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে? উত্তর খুঁজছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে, দক্ষিণ চীন সাগর থেকে আমেরিকার একটি সামুদ্রিক ড্রোন আটক করেছে চীন। মার্কিন অজ্ঞাত এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন এ খবর জানিয়েছে। চালকবিহীন ইউএসএনএস বাউডিচ নামের এ ড্রোন পানির নিচে কাজ করছিলো। চীনের নৌবাহিনী সুবিক বে বন্দরের ১০০ মাইল দূরে দুটি ড্রোন থামায় এবং এদের একটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। গণমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, চীনা নৌবাহিনীর সঙ্গে এসময় রেডিও যোগাযোগ করা হলেও তারা এতে সারা দেয়নি। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেইজিং এবং ওযাশিংটনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতি ক্রমবর্ধান হারে বাড়ছে অনেক দিন থেকেই। এখন এটা আরও দৃষ্টিকটুভাবে নজর কাড়ছে আমেরিকার। জলপথে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক যাতায়াত নিয়ে অন্য কোনো দেশের তেমন মাথাব্যথা ছিল না। কারণ, নিজেদের শাসিত দেশ তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের ওদিকে নিয়মিত সামরিক মহড়া দিতেই হয়। কিন্তু, সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের পর তারা হঠাৎ করে এমন যুদ্ধংদেহি এক মহড়ার আয়োজন করলো।
১০টি যুদ্ধ জাহাজ এবং ১০টি জেট একসঙ্গে আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে সাগরে এবং সাগর থেকে আকাশে ঝাঁপিয়ে দাপিয়ে বেড়াল। শক্তিশালী মিসাইল নিক্ষেপও চিন্তায় ফেলে দিয়েছে সবাইকে। যা আবার এই প্রথমবারের মতো জাতীয় টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে। চীনের সিসিটিভি বলেছে, এই প্রথমবারের মতো কোনো সামরিক মহড়া অস্ত্র-গোলাবারুদ ও বাস্তবসৈন্যসহ সরাসরি কেনো টেলিভিশনে প্রচার হলো। আমেরিকার নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে চীন সামরিক মহড়া বাড়াচ্ছে কারণ সেখানে তারা সামরিক ঘাঁটি আরও শক্তিশালী করতে চায়। চীন অবশ্য বলেছে, এটা তাদের সৈন্যদের ও যুদ্ধসাজসরঞ্জাম যাচাইয়ের একটা বাৎসরিক মহড়া।
মেইল অন লাইন