উম্মুল ওয়ারা সুইটি: একবার যদি একটি মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয় এবং তা যদি জানাজানি হয়ে যায়, তবে সারাজীবন তাকে এ ঘটনার বোঝা টানতে হয়। যার জীবনে এ ধরনের ঘটনা ঘটে কেবল তারাই জানে কি দুর্বিষহ হয় এই জীবন।
নেত্রকোণার দূর্গাপুরের শ্যামলীর (২২) মা পূরবী রায় গত শুক্রবার রাজধানীর রমনা থানার সামনে এ প্রতিবেদককে বলেন, যার মেয়ে ধর্ষিতা হয় বা যৌন হয়রানির শিকার হয় সে জানে জীবন কত তাচ্ছিল্যের। সমাজের কটূকথার ভয়ে ঢাকা শহরে চলে এসেছি পরিবার নিয়ে। কিন্তু এখানেও সমস্যা। আত্মীয়স্বজন যখন যার কাছে যাচ্ছি, সবাই একই কথা বলে। মেয়েটিকে নিয়ে কোথাও যেতে পারি না। সবাই খুুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এমনভাবে জিজ্ঞেস করে, এটা খুব বেদনাদায়ক। আমার মেয়েটিই যেন বিরাট অপরাধ করে ফেলেছে। আর অন্যদিকে যে ছেলে আমার মেয়ের সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করেছে, সে বহাল তবিয়তে আছে। মাঝে মাঝে মেয়েকে দেখি দরজা বন্ধ করে কান্নাকাটি করছে। ভয় হয় কবে কোনো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়। কেউ একবার মেয়েটিকে বোঝার চেষ্টা করে না। সবাই যেন আমাকে অপদস্থ করার একটা হাতিয়ার পেল। গত এক বছর ধরে আমরা এক ধরনের একঘরে জীবনযাপন করছি।