নিখোঁজ সাত যুবকের সন্ধানে হন্যে হয়ে মাঠে নেমেছে পুলিশ
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিখোঁজ সাত যুবকের সন্ধানে হন্যে হয়ে মাঠে নেমেছে পুলিশ। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা আত্মগোপনে থেকে কোথাও জঙ্গিহামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে পাবনা, রংপুর ও বরিশাল থেকে ৯ তরুণ নিখোঁজ হয়। এরমধ্যে বরিশালের একজন ও রংপুরের একজন বাসায় ফিরে গেছে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় পার হলেও বাকি সাতজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, নিখোঁজ যুবকদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। তারা স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছে, নাকি কেউ তাদের তুলে নিয়ে গেছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত ১ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে একযোগে চার তরুণ নিখোঁজ হয়। তারা হলো- সাফায়েত হোসেন, জায়েন হোসেন খান পাভেল, সুজন ও মেহেদী। এদের মধ্যে সাফায়েত ও পাভেল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
এছাড়া গত ৫ ডিসেম্বর সাইদ আনোয়ার খান নামে বনানী এলাকার আরেক তরুণ নিখোঁজ হয়। ও লেভেল সম্পন্ন করা এই তরুণ কলাবাগানে একটি ক্যারাতে প্রতিযোগিতায় ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ শেষে আর বাসায় ফেরেনি।
এদিকে গত ৩০ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মাটিকাটার বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়া কেয়ার মেডিকেল কলেজের ছাত্র ইমরান ফরহাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। ১ ডিসেম্বর রংপুর ও পাবনা থেকে পাবনা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্র তানভীর আহম্মেদ তনয় ও জাকির হোসেন বিপ্লব নিখোঁজ হয়। দুজনেরই বাড়িই রংপুরে। পাবনা মেডিকেল কলেজের এক নম্বর ছাত্রাবাসের পাশাপাশি কক্ষে থাকত তারা। গত রোববার সকালে জাকির বাড়ি ফিরেছে। সে রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছে তার ভাই জাহাঙ্গীর। তবে তনয় এখনও বাড়ি ফেরেনি। গত ৩০ নভেম্বর বরিশালের আগৈলঝারা থেকে নিখোঁজ হওয়া নেয়ামতউল্লাহকে গত শুক্রবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়। বাবা-মায়ের সঙ্গে রাগ করে ঢাকায় পালিয়ে এসে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করছিল এই মাদ্রাসাছাত্র।