রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণা দুই মেয়রের
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে। প্রতিটি কবরস্থানে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা এবং দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি তহবিলও গঠন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দুই মেয়র এ ঘোষণা দিয়েছেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, যারা একাত্তরে রক্ত দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন তাদের আবার দাবি থাকবে কেন? এই সামান্য হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের জন্য তারা কেন দাবি জানাতে যাবেন। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আমাদের উচিত স্ব-উদ্যোগে এটা মওকুফ করা। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণা দিচ্ছি। এ সময় ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হকও তাতে সম্মতি জানান।
সাঈদ খোকন আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশকে একটি মানচিত্র উপহার দিয়েছেন। তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলাদেশ তথা ঢাকা শহরকে একটি বসবাস উপযোগী শহর হিসেবে গড়ে তুলতে অবদান রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মৃত্যুঞ্জয়ী দেশ। এদেশে বিভিন্ন সময়ে মৃত্যু এসেছে। কখনো দুর্ভিক্ষ, কখনো অপরাজনীতি, আবার কখনো ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ এসেছে। এদেশে স্বৈরশাসন মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বিনষ্ট করে দিয়ে গেছে। আজ দেশে শীর্ষ ৫০ জন ধনীর তালিকা হয়। কোথায় মুক্তিযোদ্ধার নাম? ধনীর তালিকায় আপনাদের নাম থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক বলেন, এদেশের প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার গল্প এক একটি ইতিহাস। তাদের এ আত্মত্যাগের কারণেই আমরা একটি স্বাধীন ভূখ- পেয়েছি। আমরা আজ স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারি। তাদের জন্য যা করা প্রয়োজন এর সবকিছুই সিটি কর্পোরেশন করবে।
আনিসুল হক বলেন, আমি সরাসরিভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান শুধু বক্তৃতা দিয়ে শেষ করা যাবে না। আপনাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী সব সময় পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা তারই সহানুভূতিতে মেয়র হয়েছি। আমরাও আপনাদের পাশে আছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ও ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী