ভারতের রাঁচিতে প্রকৌশলের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ঝাড়খ- রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে ২০ বছর বয়সী এক ছাত্রীর দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, শরীরে আগুন দেওয়ার আগে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ওই ছাত্রী রাঁচির আরটিসি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্রী। দি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, রাঁচির ‘বুটি মোরে’ এলাকার বাসিন্দারা শুক্রবার সকালে ওই বাড়ি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ বাইরে থেকে দেওয়া তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখতে পায়, তীব্রভাবে পুড়ে যাওয়া মেয়েটির শরীর থেকেই মূলত ধোঁয়া আসছে। পুলিশের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ মেয়েটিকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও স্থানীয় লোকজন পুলিশকে বলেছিলেন, মেয়েটি ইতোমধ্যেই মৃত। মেয়েটির অভিভাবকরা বলেছেন, তারা নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাস করেন, তাদের মেয়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আগে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, আরটিসি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে একা ছিলেন। তার রহস্যজনক মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন তার সহপাঠীরা। তারা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
মেয়েটির বাবা নাগেশ্বর মাহাতো বলেন, ‘দৃশ্যত সে ধর্ষিত হয়েছিল। তার শরীরে এক রত্তি কাপড়ও ছিল না। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল গভীর পোড়া দাগ। তার গলার কাছে একটি ধাতব তার পড়ে ছিল। এতে বোঝা যাচ্ছে, আগুন দেওয়ার আগে নির্দয়ভাবে তাকে খুন করা হয়েছে।’
মেয়েটি গত কিছুদিন ধরে তার বোনকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। আর তার মা-বাবা থাকছিলেন হাজারীবাগ জেলার বারকাকানা এলাকায়। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘বারকাকানা থেকে সে বুধবার (ঘটনার আগের দিন) এই বাড়িতে একা এসেছিল। ঘটনার রাতে তার বোন সঙ্গে ছিল না।’ পুলিশ জানায়, লাশের পাশে আত্মহত্যার কোনো চিরকুট পাওয়া যায়নি। রাঁচির সদর থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ফরেনসিক সাক্ষ্যপ্রমাণ যোগাড় করছি। খুব শিগগির অপরাধীদের ধরতে পারব বলে আশাবাদী।’ সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ